Beta
শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫

দেশে ফিরলেন শহিদুল আলম

আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। ফাইল ছবি
আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। ফাইল ছবি
[publishpress_authors_box]

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম দেশে ফিরেছেন।

বাসস জানিয়েছে, শনিবার ভোর ৫টার দিকে শহিদুল আলমকে বহনকারী বিমান ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম স্বাধীন মিডিয়া প্রতিষ্ঠান দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। নাগরিক অধিকার নিয়েও সোচ্চার তিনি। গাজা অভিমুখী একটি নৌবহরে অংশ নিয়ে গত বুধবার ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক হন শহিদুল আলম।

শহিদুল আলমের দেশে ফেরার ছবি শনিবার সকাল ৭টার দিকে দৃকের ফেইসবুক পেইজেও পোস্ট করা হয়।

পোস্টে শহিদুল আলম বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা আমাকে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে। মনে রাখতে হবে যে গাজার মানুষ এখনও মুক্ত হয়নি। গাজার মানুষ এখনও আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের ওপর এখনও নির্যাতন চলছে। এই নির্যাতন যতক্ষণ না শেষ হয়, আমাদের কাজও কিন্তু শেষ হবে না।”

তিনি বলেন, “সারা পৃথিবী থেকে বাংলাদেশিরা যেভাবে সাড়া দিয়েছেন, দোয়া করেছেন, বাংলাদেশ সরকার ও তুরস্কের সরকার যেভাবে সাহায্য করেছে- সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”

ফিলিস্তিন মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শহিদুল আলম বলেন, “আমি যেতে পেরেছি, অনেকে পারেনি। অনেকে যেতে চেয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। আমাদের মতো আরও হাজার ফ্লোটিলা যাওয়া দরকার, যতদিন না ফিলিস্তিন স্বাধীন হয়। আমাদের আসল সংগ্রাম এখনও বাকি আছে। ফিলিস্তিন মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।”

শহিদুল আলমকে বরণ করতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী ও মানবাধিকারকর্মী রেহনুমা আহমেদ, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক তানজিম ইবনে ওয়াহাব, আলোকচিত্রী ও গবেষক মুনেম ওয়াসিফসহ অনেকে।

গতকাল শুক্রবার ইসরায়েল থেকে মুক্তির পর টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে শহিদুল আলম তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছান। তাকে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ নামের একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম গাজা অভিমুখে ওই নৌযাত্রা শুরু করেছিল। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা’র আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল।

মোট নয়টি নৌযানের এই বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও মানবাধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন শহিদুল আলম।

পরে শহিদুল আলমসহ আটক অনেককে ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

শহিদুল আলমের মুক্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জর্ডান, মিসর ও তুরস্কের মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছিল।

শহিদুল আলমের মুক্তি ও ইসরায়েল থেকে তার প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতা করার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত