সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী ও বর্তমানে হত্যা মামলার আসামি শাজাহান খান হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এর মধ্য দিয়ে তাকেসহ অন্য আসামিদের অসম্মান করা হচ্ছে বলে আদালতে অভিযোগ করেছেন তিনি।
সোমবার শাজাহান খানসহ সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক কর্মকর্তা রেজাউল করিম ও যুবলীগ নেতা কবির হোসেনকে আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ।
তারা প্রত্যেকেই ঢাকায় তিন থানায় করা পৃথক চার হত্যা মামলার আসামি। জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত শাজাহান খানসহ ওই ৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানির সময় শাজাহান খান হাতকড়া পরিয়ে আদালতে আনার মাধ্যমে তাদের অসম্মান করা হচ্ছে দাবি করে বলেন, “আমরা যারা এখানে আছি, তারা কেউ মন্ত্রী, কেউ এমপি, কেউ আইজিপি ছিলাম।
“আমাদের মোস্ট ওয়ান্টেড আসামিদের মতো হাতকড়া পরিয়ে আদালতে আনা হচ্ছে। আমরা কি পালিয়ে যাব? আমাদের অসম্মান করা হচ্ছে। আপনি (বিচারক) বিষয়টি দেখবেন।”
বিচারক তখন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রীকে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, “হাতকড়ার বিষয়ে আসামি শাজাহান খান মৌখিক আবেদন করেছিলেন। আদালত এ বিষয়ে কোনও আদেশ দেয়নি।
“আমরা বলেছি, বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে আমাদের নেতাকর্মীদের ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে আনা হতো। এখন কেবল হাতকড়া ও হেলমেট পরানো হচ্ছে তাদের নিরাপত্তার জন্য।”
গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পল্টন থানায় করা শামীম হত্যা মামলার আসামি।
তিনি ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন রাশেদ খান মেনন, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রেজাউল করিম, কবির হোসেন ও আব্দুস সোবহান গোলাপ।
এছাড়া এদিন ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় মনোয়ারা হাসপাতালের সামনে গুলিতে নিহত রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় আহম্মদ হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মিরপুরে দুটি হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকেও গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।