কদিন আগে টি-টোয়েন্টিতে ৬৫০ উইকেটের মাইলফলকে পা রেখেছেন রশিদ খান। সাকিব আল হাসান সেখানে আটকে ছিলেন ৪৯৮ উইকেটেই। সিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচে পাননি উইকেটের দেখা। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ক্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে নিলেন ১ উইকেট। তাতে ৫০০’র মাইলফলক থেকে আর ১ উইকেট দূরে বাংলাদেশের এই কিংবদন্তি।
৪৫৫ টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের উইকেট ৪৯৯টি। এই ফরম্যাটে ৫০০ বা বেশি উইকেট আছে কেবল ৪ জনের- রশিদ খান (৬৫৮), ডোয়াইন ব্রাভো (৬৩১),সুনীল নারিন (৫৯০) ও ইমরান তাহির (৫৪৯)।
সাকিবের উইকেট পাওয়ার দিনে তার দল অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস জিতেছে ৮ রানে। শুরুতে ব্যাট করে সাকিবের দল করেছিল ৬ উইকেটে ১৭৬। জবাবে ত্রিনবাগো থামে ৬ উইকেটে ১৫৯-এ। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও উঠে এসেছেন সাকিবরা। ব্যাট হাতে ১৩ বলে ৭ করার পর ১ ওভার বল করে ২ রানে ১ উইকেট নেন সাকিব। তার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ওয়াইড লং অনে ক্যাচ দেন ড্যারেন ৮ বলে ২ রান করা ব্রাভো।

২ ওভারে জয়ের জন্য ত্রিনবাগোর দরকার ছিল ৩৬ রান। ওবেদ ম্যাকয়ের করা ১৯তম ওভারে ২২ রান তুলেছিলেন কাইরন পোলার্ড। শেষ ওভারে দরকার তখন ১৪। শামার স্প্রিঙ্গারের করা শেষ ওভারে টানা চার বলে দেননি কোনো রান! তাই ১ বলে লাগত তখন ১৩। পোলার্ড বাউন্ডারি মেরে হারের ব্যবধানটা কমান ৮ রানে।
ত্রিনবাগোর হয়ে ১৮ বলে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন ওপেনার কলিন মানরো। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পোলার্ডের ২৮ বলের ৪৩। ওবেদ ম্যাকয় ৩৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা।
অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডার হয়ে অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিম ২৭ বলে করেন ৩৯ রান। ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ২০ বলে করেছেন ৪৫ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা: ২০ ওভারে ১৬৭/৬ (অ্যালেন ৪৫, ইমাদ ৩৯*, সাকিব ৭; তারিক ২/৩৭, এডওয়ার্ড ২/৫৬) ; ত্রিনবাগো: ২০ ওভারে ১৫৯/৬ (মানরো ৪৪, পোলার্ড ৪৩*, কার্টি ৩৫; ম্যাকয় ৪/৩৯, সাকিব ১/২) ; ফল: অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ৮ রানে জয়ী ; ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ওবেদ ম্যাকয়।



