সাকিব আল হাসান এখন খুনের মামলার আসামি। ৫ আগস্ট এক গার্মেন্টসকর্মী হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে মামলা হয়েছে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের বিরুদ্ধে। অথচ সেদিন সাকিব ছিলেন কানাডায়, খেলেছেন কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে-জিতেছিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।
এছাড়া মামলা হয়েছে বাংলাদেশের সাবেক ফুটবল অধিনায়ক, বাফুফে ও সাফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধেও। সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাকিব আল হাসানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন করেছেন এক সাংবাদিক।
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যা যা করা যায়, তা করবে। প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি পড়ে শোনান স্টিফেন ডুজারিক।
প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রায় ৫০ লাখ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে হাজারের বেশি হত্যা ও দুর্নীতির মামলা করা হয়েছে। এসব মামলার আসামিদের মধ্যে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আছেন। যিনি দেশের বাইরে আছেন। আসামিদের মধ্যে আছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকও।’’
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘‘ঠিক আছে কিন্তু প্রশ্নটা কী?’
তখন প্রশ্নকারী বলেন, ‘‘ (মামলার জন্য) প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। জাতিসংঘের কোনো উদ্বেগ আছে কি?’’
স্টিফেন ডুজারিক এর উত্তরে জানান, ‘‘কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ যারা রাজনৈতিক ও মানবিক দিক দিয়ে দেশটির জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং এক সময়ে দায়িত্ব নিয়েছে, তারা আইনের শাসন আর ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যা করা যায়, সেটা করবে।’’
আরেক প্রশ্নে সেই সাংবাদিক আইন শৃঙ্খলার নাজুক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলে বিরক্তি জানিয়েই স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘‘বাংলাদেশে ঘটা প্রতিটি বিষয় নিয়ে ঘণ্টায় ঘণ্টায় প্রতিক্রিয়া জানানো যায় না।’’