সাকিব আল হাসান দলে আছেন, একাদশে নেই! ভাবনাটাই অবান্তর ছিল এতদিন। অলরাউন্ডার হিসেবে একাদশে জায়গাটা নিশ্চিত থাকত তার। কিন্তু চোটের জন্য চেন্নাই টেস্টে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খরুচে বোলিং করেছেন সাকিব। ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করেও টানতে পারেননি ইনিংসটা।
তাই প্রশ্ন উঠেছে কানপুর টেস্টে সাকিবের থাকা না থাকা নিয়ে। চেন্নাইয়ে হারের পর এমন প্রশ্নে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ‘‘সাহসী প্রশ্ন, মাশাল্লাহ!’’
সোমবার চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ দলের টিম হোটেলে নির্বাচক হান্নান সরকারকেও মুখোমুখি হতে হলো একই প্রশ্নের। জবাবে তিনি জানিয়েছেন, ফিট হয়ে খেলতে নামলেও বোলিংয়ের সময় আঙুলে ব্যথা পেয়েছেন সাকিব। কানপুর টেস্টে সাকিবের খেলা না খেলা নিয়ে হান্নানের ভাবনা, ‘‘আমরা টিম সাজাতে গেলে সাকিবকে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে খেলবে, আর যদি মনে হয় না এই মুহূর্তে সাকিবকে ছাড়া, (খেলতে হবে) সেটাও হতে পারে। সাকিব কিন্তু অন্য সংস্করণও খেলে, সে জায়গা থেকে জানেন সামনে তিনটা টি-টোয়েন্টি রয়েছে, সেটাও আমাদের বিবেচনায় থাকবে।’’
তবে এখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে চান না হান্নান, ‘‘ যেহেতু চারদিন আছে, দুই দিন আমরা মাঠে থাকব, সেখানে আমরা আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণ করব, তার ব্যাটিং-বোলিং জাজ করার চেষ্টা করব, তার কাছ থেকে মতামত নেব, তারপর সিদ্ধান্তে আসব।’’
এ নিয়ে হান্নান আরও যোগ করলেন, ‘‘ আমরা দেখব তার কী অবস্থা। আমরা জানি যে সাকিবের হাতের ব্যথা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এটা কিন্তু ম্যাচের আগে ছিল না। অনেকেই অনেকভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা ম্যাচের আগে ফিজিওর ১০০ ভাগ ক্লিয়ারেন্স নিয়েই তাঁকে দলে রেখেছি। তখন ১০০ ভাগ ফিটই ছিল। পরের ম্যাচের আগে সময় আছে, আমরা তাকে নিয়ে চিন্তা করব।’’
উইকেট না পেলেও সাকিবের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন হান্নান, ‘‘সাকিব এমন একজন প্লেয়ার, সে যদি খেলতে না পারে, যদি মনে করে বোলিং করতে পারবে না, তাহলে কিন্তু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারে। আর সে যদি মনে করে বোলিং-ব্যাটিং কিছুই করতে পারবে না, তাহলে সিনারিও ভিন্ন। তাকে অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে (ব্যাটিংয়ে) হ্যাঁ, রানটা বড় হয়নি। কিন্তু সাকিব বরাবরই আমাদের দলের ব্যালেন্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাকিব সৎ প্লেয়ার, গত ২ ইনিংস দেখে মনেই হয়নি সমস্যা আছে।’’