না থেকেও মিরপুর টেস্টের আলোচনায় সাকিব আল হাসান। দলে থেকেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে শেষ পর্যন্ত বাদ পড়েছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অলরাউন্ডার। বিদায়ী টেস্টটা তাই খেলা হচ্ছে না মিরপুরে।
মিরপুরে স্টেডিয়ামের বাইরে সাকিবকে ঘিরে রয়েছে দুটি পক্ষ। এক পক্ষ চায় না সাকিব মিরপুরে খেলুক। আরেক পক্ষ মিছিল করছেন সাকিবকে ফেরাতে। এসব অজানা নয় দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার বা টিম ম্যানেজমেন্টের কারও। তবে বিতর্কে না জড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাকিবের প্রশংসা করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স।
কিংবদন্তি অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন, বাংলাদেশের জন্য সাকিবকে তেমনই মনে করেন প্রিন্স, ‘‘সাকিব বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার অনেকটা জ্যাক ক্যালিসের মতো যখন নিজের সময়ে সে আমাদের হয়ে খেলত। সাকিবের দলে থাকা শুধু দলের ভারসাম্যই তৈরি করে না, ওর সতীর্থরাও উদ্দীপ্ত হয় এমনিতে। ও না থাকায় আপনাকে সংশয়ে থাকতে হবে বাঁহাতি স্পিনার খেলাবেন নাকি ব্যাটার।’’
১৬৬ টেস্টে ১৩২৮৯ রানের পাশাপাশি ক্যালিস নিয়েছেন ২৯২ উইকেট। সেখানে ৭১ টেস্টে সাকিব আল হাসানের রান ৪৬০৯ আর উইকেট ২৪৬টি। অলরাউন্ডার হিসেবে এত বেশি রান ও উইকেট যেমন নেই কোন প্রোটিয়া ক্রিকেটারের, তেমনি সাকিবের উচ্চতায় পৌঁছতে পারেননি বাংলাদেশের কেউ।
এজন্যই বাংলাদেশের জন্য সাকিবকে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যালিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন প্রিন্স। দুজন একটা সময় একসঙ্গে খেলেছেন আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সে। তখন সাকিবকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন ক্যালিসও।
প্রিন্স ২০২১ সালের জুন থেকে সাত মাসের জন্য ব্যাটিং কোচ ছিলেন বাংলাদেশের। সাকিব আল হাসানকেও দেখেছেন কাছ থেকে। সাকিবকে পাওয়া যাবে বা যাবে না, এমন পরিস্থিতি যে নতুন নয় সেটাও স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রিন্স, ‘‘সাকিবের না থাকাটা প্রভাব ফেলবে ড্রেসিংরুমে। এমন একজন অলরাউন্ডার পাওয়া কঠিন। তারা কিছুটা ভাগ্যবান যে আরেকজন ভালো বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল আছে, সম্ভবত সে খেলবে। সেদিক থেকে একটা দিক পূরণ হবে। তবে এবারই প্রথম সাকিবকে ঘিরে এমন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়নি। এটা ওদের জন্য (বাংলাদেশ) নতুন কিছু নয়।’’
কোচদের বিদায়টা বাংলাদেশে যে মধুর হয় না, প্রিন্স জানেন ভালোভাবে। তাই চন্ডিকা হাথুরুসিংহের জায়গায় একটা সিরিজ শুরুর সপ্তাহখানেক আগে ফিল সিমন্সকে নিয়োগ দেওয়ায় বিস্মিত প্রিন্স, ‘‘এখানে আসার পথে দুবাইয়ে হঠাৎ সিমন্সকে দেখে অবাক হয়েছি। একই ফ্লাইটে তার সঙ্গে আসাটা দারুণ। তবে একটা সিরিজ শুরুর আগে এভাবে একজন কোচের নিয়োগ পাওয়াটা আদর্শ নয়। বিদায়ী কোচের জন্যও এটা আদর্শ পরিস্থিতি নয়।’’