মাঠের বাইরে সমালোচনার ঝড় তোলার মতো হাজারটা কাজ করতে পারেন সাকিব আল হাসান। মাঠে নামলে সে সব একপাশে সরিয়ে রেখে শুধু খেলাতেই মনোযোগ দেন তিনি। সাকিবের গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিম মুগ্ধ তার এই গুণে।
ক্রিকেটীয় যে কোন সমস্যায় নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে ছুটে যান সাকিব। ফাহিম এখন বিসিবির পরিচালক হওয়ার পর রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের সময়ও কথা হয়েছে গুরু-শিষ্যের।
হত্যা মামলার বোঝা মাথায় নিয়েও রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ৪ উইকেট নেওয়া সাকিবকে নিয়ে আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের ফাহিম জানালেন, ‘‘আমি বোর্ডের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে কোনও কথা বলিনি। ওর মেন্টর হিসেবে, কোচ হিসেবে কথা বলেছি। ওর পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলেছি। সেটার সঙ্গে বোর্ডের কোনো সম্পর্ক নেই। সে কীভাবে, কী করলে ভালো করতে পারবে, এসব নিয়ে আলোচনা করেছি।’’
আলোচনা করে কী মনে হয়েছে ফাহিমের ? তার জবাব, ‘‘মেন্টালি স্ট্রং বলব না। যে কোনো অ্যাথলেট হোক, যে কোনো দেশেরই হোক, তারা যখন পারফর্ম করতে নামে মাঠে, আমার মনে হয় না তারা নেগেটিভ প্যাকেজগুলো নিয়ে মাঠে নামে। তারা শুধু তাদের খেলার কথাই ভাবে। ওভাবেই তারা নিজেদের তৈরি করে। যেন অন্য কোনো চিন্তা আদৌ না আসে। তার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়, ওর অন্য কোনও চিন্তা থাকে না। ও বোলার হিসাবে শুধু ব্যাটারকে নিয়েই চিন্তা করে।’’
মাঠের বাইরের জিনিস নিয়ে সাকিবকে মাথা না ঘামানোর কথা বলেছেন ফাহিম, ‘‘অন্য কোনো সময় বাইরের চিন্তা আসতে পারে, তবে বল করার সময় এসব চিন্তা আসে না। এটাই ওকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। অন্যদের আমরা দেখেছি, বিভিন্ন ঘটনা, সমালোচনা তাদেরকে স্বাভাবিক খেলা খেলতে দেয় না। কিন্তু সাকিবের ক্ষেত্রে সেটা হয় না।”
রাওয়ালপিন্ডিতে সাকিবের বোলিংয়ের প্রশংসাও করে নব্য বোর্ড পরিচালক বলেছেন, ‘‘আমরা দেখেছি, সে যখন বাঁহাতিদের বিপক্ষে বোলিং করে তখন খুব স্বস্তি নিয়ে করে না। কিন্তু কালকে সেটা দেখিনি। একজন ভাল টেস্ট বোলার যেভাবে বোলিং করে সে সেভাবেই বোলিং করেছে। বোলিং করার সময় সে নিজের উপর আস্থা রেখেই বোলিং করে। ডানহাতি-বামহাতি সব ধরনের পরিস্থিতে।’’