আবারও বেটিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে গেল সাকিব আল হাসানের নাম। নাহ, এবার প্রত্যক্ষ ভাবে নয়, পরোক্ষ ভাবে। ভারতের একটি বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারির তদন্তে উঠে এসেছে চমকে দেয়া তথ্য।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে ও আজ তাক-এ প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রচলিত “11wicket.com.bd” নামে একটি অনলাইন বেটিং অ্যাপে বিনিয়োগ করেছেন সাকিবের ছোট বোন জান্নাতুল হাসান।
এই অ্যাপটির বিনিয়োগকারী হলেন ভারতীয় বাজিকর সুরুজ চোখানি। তার সঙ্গেই অংশীদার ছিলেন জান্নাতুল হাসান। সুরুজ চোখানি বর্তমানে ভারতীয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কর্তৃক গ্রেফতার আছেন। ইডির জিজ্ঞাসাবাদেই জান্নাতুল হাসানের নাম প্রকাশ করেছেন তিনি।
বেটিং কেলেঙ্কারি তদন্তের সূত্রপাত গত বছর সেপ্টেম্বরে। মহাদেব বেটিং অ্যাপ নামক একটি অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিপুল আর্থিক দুর্নীতির খোঁজ পায় ইডি। সেই ঘটনার তদন্তে ভারতের অনেক প্রভাবশালীদের নাম উঠে আসে।
ইন্ডিয়া টুডের অনলাইন এবং আজ তাক–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহাদেব বেটিং অ্যাপ তদন্তে গ্রেপ্তার করা হয় দুই ব্যবসায়ী সুরুজ চোখানি ও গিরিশ তালরেজাকে।
তদন্তকারী সংস্থা ইডি সূত্র জানিয়েছে, সুরুজ চোখানি নেপালের কাঠমান্ডুতে একটি ক্যাসিনোয় ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশে 11wicket.com.bd নামের একটি বেটিং অ্যাপে বিনিয়োগ করেন। এতে তাঁর অংশীদার ছিলেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বোন জান্নাতুল হাসান।
গিরিশ তালরেজা লোটাস৩৬৫ নামের বেটিং অ্যাপের স্বত্বাধিকারী। এছাড়া লোটাস৩৬৫ এর সঙ্গে রতন লাল জইন ও সৌরভ চন্দ্রকর নামক আরও দুজন বাজিকরের নাম আছে। মহাদেব বেটিং অ্যাপ ও লোটাস৩৬৫ অ্যাপের সূত্র ধরে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি নগদ অর্থ ও প্রায় দুই কোটি রূপির মতো মালামাল জব্দ করেছে ইডি।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমের ওই রিপোর্টের সূত্র ধরে বাংলাদেশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এখনও কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। বেটিং কেলেঙ্কারিতে নিজেদের নাম জড়িয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পার হতে চললেও সাকিব বা তার বোনের পক্ষ থেকেও কোন বিবৃতি আসেনি।
সাকিব আল হাসানও এর আগে আলোচনায় এসেছিলেন। স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও আইসিসিকে অবহিত না করায় ২০১৯ সালের অক্টোবরে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। ২০২২ সালে বেটিং–সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বেট উইনার নিউজের পণ্যদূত হয়েও বিতর্কে জড়ান সাকিব। পরে অবশ্য বিসিবির চাপে ওই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাকে।