ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা মিরপুরে খেলতে চেয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়ায় দেশে ফেরা নিয়ে শঙ্কিত বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি। দেশে ফিরে নিরাপদে খেলা ও দেশ ত্যাগের নিশ্চয়তা পেলেই আসার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
কানপুরের সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের এমন চাওয়ার পর মিরপুরে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানান, সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারবে না বিসিবি। তাতে অনিশ্চয়তায় পড়ে এই অলরাউন্ডারের দেশে ফেরা।
রবিবার অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছেও জানতে চাওয়া হয় সাকিবের নিরাপত্তা নিয়ে। জবাবে তিনি বললেন, “খেলোয়াড় সাকিবের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আছে। তবে, সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে জনমনে তৈরি হওয়া ক্রোধের বিপরীতে নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া অবান্তর।”
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে গ্রামীণফোনের লভ্যাংশের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “সাকিব আল হাসানের পরিচয় দুটি, এটি মনে রাখতে হবে। তিনি একজন খেলোয়াড়। সে হিসেবে তার যতটা নিরাপত্তা দেওয়া দরকার সেটা দেওয়া হবে। অপরদিকে তিনি একজন রাজনীতিবিদও। আওয়ামী লীগের হয়ে রাজনীতি করেছেন। মানুষের মধ্যে তো এই দুই পরিচয় নিয়েই মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। এখন খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের একজন খেলোয়াড়কে যতটুকু নিরাপত্তা দেওয়ার দরকার ততটুকু আমরা দেব।”
আসিফ মাহমুদ আরও যোগ করেন, “রাষ্ট্রের জায়গা থেকে রাষ্ট্র প্রত্যেক নাগরিককেই নিরাপত্তা দিতে বাধ্য এবং সেটা আমরা অবশ্যই করব। তার বিরুদ্ধে যে হত্যা মামলা হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যেই বলেছি এবং আইন মন্ত্রণালয়ও বলেছে, তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না থাকলে প্রাথমিকভাবেই নাম বাদ দেওয়া হবে।”
পোশাক শ্রমিক রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ঢাকার আদাবর থানায় মামলা হয়েছে সাকিবের বিরুদ্ধে।
ফলে দেশে ফিরলে গ্রেপ্তারের শঙ্কা করেছেন সাকিব নিজেই।
এই মামলার আইনগত দিক নিয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী আবুল হাসনাত বিলাস সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “মামলাটা যেহেতু থানায় হয়েছে, তাই আগাম জামিনের জন্য দেশে ফিরে সশরীরে আগাম জামিন চাইতে হবে সাকিবকে। আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চাওয়ার উপায় নেই।”
অর্থাৎ আগাম জামিন চাইতে হলেও দেশে ফিরতে হবে সাকিবকে। এখন প্রশ্ন হলো, তিনি কি ঝুঁকিটা নেবেন?
