Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

টি-টোয়েন্টিতে ফেরার পথটা খোলা রাখলেন সাকিব

hh1
[publishpress_authors_box]

‘‘শেষ হইয়াও হইল না শেষ’’-সাকিব আল হাসানের টি-টোয়েন্টি ছাড়ার ঘোষণাটা অনেকটা ছোট গল্প নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই বিখ্যাত উক্তির মতোই।

টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারটা মোটেও ছোটগল্প নয় সাকিব আল হাসানের। মহাকাব্য বলাই ভালো। বিশ্বকাপের সেই প্রথম আসর থেকে সবগুলো টুর্নামেন্ট খেলেছেন তিনি। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেটও তার। ১২৯ ম্যাচে তার রান ২৫৫১ আর উইকেট ১৪৯টি। টি-টোয়েন্টিতে তার উইকেটই তৃতীয় সর্বোচ্চ।

 সেই সাকিব আজ (বৃহস্পতিবার) কানপুরে সংবাদ সম্মেলনে আচমকাই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে বললেন, ‘‘আমার তো মনে হয়, টি-টোয়েন্টিতে আমার শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি বিশ্বকাপে।’’

এখানেই ফাঁক আছে একটা। সাকিব সরাসরি বলেননি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলাম, এই ফরম্যাটে জাতীয় দলের হয়ে আর খেলব না। বরং জাতীয় দলে ফেরার পথটা খোলাই রাখলেন এই বলে, ‘‘আমি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো খেলতে থাকি, ছয় মাস–এক বছর পরে যদি বিসিবি মনে করে আমার টি-টোয়েন্টিকে কন্ট্রিবিউট করার সুযোগ আছে, আমি পারফর্ম করছি এবং ফিট আছি, দেন আমরা ডিসাইড করতে পারি। কিন্তু এই মুহূর্তে নিজেকে টি-টোয়েন্টিতে দেখছি না।’’

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। টুর্নামেন্টের বাকি প্রায় ১৬ মাস। ততদিনে সাকিব আল হাসানের বয়স ছাড়িয়ে যাবে ৩৮ বছর।

সেই বয়সে ফিট থেকে বিশ্বকাপ খেলা সহজ নয়। তারপরও ফিট থাকলে আর ব্যাট-বলে ছন্দ না হারালে সাকিবের খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। এজন্যই ছয় মাস বা এক বছর অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব। ততদিনে তার বিকল্প কাউকে কি খুঁজে পাবে বিসিবি?

সাকিব অবশ্য মনে করেন নতুনদের সুযোগ দেওয়ার এটাই সেরা সময়, ‘‘আমার মনে হয় নতুনদের সুযোগ দেওয়া উচিত। তাদের দেখার এটাই সবচেয়ে ভালো সুযোগ। ২০২৬ সালের দিকে যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট তাকায়, তাহলে এটাই বাংলাদেশের জন্য ভালো। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সবাই একমত।’’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত