একটা সময় তারা ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। থাকতেন একই বিল্ডিংয়ে, পাশাপাশি ফ্ল্যাটে। সেই উষ্ণ সম্পর্কটা আর নেই। গত বিশ্বকাপের আগে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে সম্পর্কটা ঠেকেছে তলানিতে। কেন এমন হল?
পুরোনো এই ব্যাপারটা নতুন করে সামনে এসেছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গবিডির সাকিবকে নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র ‘সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপ স্পেশাল’-এর কারণে। আজ রাত ৮টায় এই প্রামাণ্যচিত্রের দেখানো হবে প্রথম পর্ব। তামিমের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সাকিব সেখানে কথা বলেছেন আরও একবার। সেখানে তিনি কথা বলেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের টাইমড আউট নিয়েও। এর প্রমোশন ভাইরাল রীতিমতো।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সাকিব বলেছিলেন, “কথা হতো না, এটা একদম ভুল কথা। আমাদের একসময় যে সম্পর্কটা ছিল, সারাক্ষণ একসঙ্গে থাকতাম, ওই সম্পর্কটা অনেক দিন ধরেই ছিল না। আমি বিয়ে করলাম। সে বিয়ে করল। দুজনের বাসা আলাদা, আলাদা জায়গায় থাকা—এভাবে সময়টা অনেক কমে যায়। স্বাভাবিকভাবেই আগের নৈকট্য ধীরে ধীরে কমতে থাকে। মানুষের আলাদা জীবন চলে আসে। আলাদা পারিবারিক জীবন। এই ব্যস্ততাগুলোর সঙ্গে ধীরে ধীরে সময়টাও পাল্টে যেতে শুরু করে।’’
বিশ্বকাপ চলার সময়ই ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, বাবর আজম ও শাহিন শাহ আফ্রিদি কথা বলেন না! সাকিব-তামিম নিয়ে একই সুর ছিল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কণ্ঠে। এটা আরও জটিলতা তৈরি করেছে বলে জানালেন সাকিব, ‘‘ মাঠে দেখা হলে (বিয়ের পর) যখন কোনো প্রয়োজন হতো, তখনই কথা হতো। এর থেকে খুব বেশি যে কথা বলার দরকারও ছিল, আমার কাছে সেটা মনে হয় না। পাপন ভাই বলার পর থেকে এই ব্যাপারটি আরও আলোচনায় চলে আসে। আমার মনে হয় ওটা বেশি সমস্যা তৈরি করেছে এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিংবা এই পরিস্থিতি তৈরির জন্য।’’
তাহলে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরুর আগে তামিমকে নিয়ে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দিলেন কেন? এ নিয়ে সাকিব জানালেন,‘‘ আমি কাউকে কোনো বার্তা দেওয়ার জন্য সাক্ষাৎকার দিইনি। এটা অবশ্যই স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিল যে (বিশ্বকাপে খেলতে) যাওয়ার আগে সবকিছু পরিষ্কার করে যাওয়া, যাতে করে মানুষ জানে কী হয়েছে এবং কী কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো।’’