প্রথম দুই ম্যাচে ছিলেন বিবর্ণ। ৪ ওভারের বোলিং কোটাই পূরণ করেননি। টি-টোয়েন্টিতে টানা ১৯ ইনিংস ফিফটি না পাওয়াটা তো ছিলই। সাকিব আল হাসানকে তাই ‘‘লজ্জা থাকলে অবসর’’ নিতে বলেছিলেন ভারতীয় সাবেক তারকা বীরেন্দর শেবাগ।
এর জবাবটা সাকিব দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ সেরা হয়ে। দরকারের সময় এভাবে বহুবার জ্বলে উঠে নিজের জাত চিনিয়েছেন সাকিব। বন্ধু হিসেবে তাকে কাছ থেকে চিনতেন বলে, ম্যাচটার আগে সাকিবের উপর আস্থা রেখেছিলেন তামিম ইকবাল।
ম্যাচ শেষে ক্রিকইনফোর টাইম আউট অনুষ্ঠানে তামিম বললেন, ‘‘ওর ওজন কতটা, আমার মতে বোঝানোর কিছু নেই। আমরা ওর মূল্য বুঝি। ১৬-১৭ বছর ধরে নিজের কাজটা করছে সে। খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। অনেক সমালোচনা হয়েছে, তবে সব মিলিয়ে এটা দারুণ একটা ইনিংস ছিল। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেছে সে যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই উইকেট।’’
রিশাদ হোসেনেরও ভূয়সী প্রশংসা করলেন তামিম ইকবাল, ‘‘রিশাদের তৃতীয় ওভার বদলে দিয়েছে ম্যাচটা। নেদারল্যান্ডস-বাংলাদেশ তখন সমান তালে লড়াই করছিল। খেলাটা কোন দিকে যাবে বোঝা যাচ্ছিল না। অবিশ্বাস্য ছিল সেই ওভারটা। নেদারল্যান্ডস সঠিক পথেই এগোচ্ছিল। রিশাদের ওভারে সুযোগ নিতেই হতো, চেষ্টাও করেছে। সেই ওভারে ১২-১৩ রান করলে পরের ওভারে ৭-৮ রান লাগত। ঠিক পথেই থাকত তখন।’’
নিজের ৪ ওভারে ১৭টা ডট বল করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তাকেও জয়ের কৃতিত্ব দিলেন তামিম, ‘‘মোস্তাফিজের বোলিংও অবিশ্বাস্য। সব সময়ই কঠিন ওভারগুলো করে থাকে ও। এই কাজটাই ভালোভাবে করছে। এমন উইকেট বাংলাদেশের জন্য মানানসই। দেশের মাটিতে খেলার মতো অনেকটা।’’