ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন ঘরের মাঠ মিরপুরে। কিন্তু সাকিব আল হাসানের ইচ্ছা শেষ পর্যন্ত পূর্ণ হয়নি। নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় থাকায় দেশে আসতে পারেননি সাকিব। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই এসে আবার ফিরে যেতে হয়েছে।
এ নিয়ে এতদিন বিসিবির কেউই মুখ খোলেননি। এতদিন পর বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ জানালেন সাকিবের না খেলার পেছনে বিসিবি একদমই জড়িত নয়।
আইসিসি সভায় দুবাই থেকে সৌদি আরবে উমরা করতে গিয়েছিলেন ফারুক আহমেদ। সেখান থেকে দেশে ফিরে বুধবার সংবাদ মাধ্যমে ফারুক বলেছেন তিনি চেষ্টা করেছিলেন, “শেষ টেস্ট খেলার জন্য সাকিবের না ফেরা… এখানে আমরা (বিসিবি) কোনোভাবে জড়িত নই। এটা হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও সাকিব আল হাসানদের ব্যাপার। এখানে বিসিবি ছিল তৃতীয় পক্ষ। আমি যত কথাই বলি, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি যাতে সাকিব আল হাসান দেশ থেকে অবসরে যেতে পারে। আমার চেষ্টা আমি করেছি।”
তবে সাকিবের দেশে ফিরতে না পারার ভিন্ন কারণ তুলে ধরলেন ফারুক আহমেদ, “আমি সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে মনে করি, একটা ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে, সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বাংলাদেশের জন্য অনেক করেছে, এজন্য এটা (দেশ থেকে অবসর) হলে ভালো হতো। কিন্তু সঙ্গে অন্য জিনিসগুলোও তো দেখতে হবে আপনার।”
ফারুক যোগ করেছেন, “কিন্তু সাকিব এখন শুধু একজন খেলোয়াড় নয়। তার একটা পরিচয় আছে যে, গত সরকারের একজন এমপি ছিল এবং কিছু সেন্টিমেন্ট আছে (তাকে নিয়ে)। সব মিলিয়ে সরকারের দৃষ্টিকোণ ও ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিকোণ তো এক নয়। ওই জিনিসগুলো মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে সে আসতে পারেনি, এটার ব্যাপারে বোর্ডের কিছু করার ছিল না। বোর্ড এটার অংশ ছিল না। সে এলে বোর্ডের যতটুকু ক্ষমতা আমরা তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করতাম। যেহেতু সে আসেনি, এটা নিয়ে আর কথা বলে লাভ নেই।”
সাকিব টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন। দেশের মাটিতে তার শেষ ম্যাচ খেলা হবে কিনা তা এখন বিশাল প্রশ্ন। তবে ওয়ানডে থেকে এখনও অবসর ঘোষণা করেননি সাকিব। তাই এ ক্রিকেটারকে নিয়ে নতুন আলোচনা দুবাইতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে।
আফগানদের বিপক্ষে নভেম্বরের শুরুতেই তিনটি একদিনের ম্যাচের সিরিজে সাকিব খেলবেন কিনা এ ব্যাপারে ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, “সাকিব আল হাসানের ব্যাপারটা… এখনও যেহেতু দল দেয়নি (ঘোষণা হয়নি), আমার মনে হয় অ্যাভেইলেবল আছে সে (সাকিব)।”