Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

সাকিবের সেরা ৫

‘বাজবল’ দর্শনে মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৪ রানের ইনিংসের পথে সাকিব।
‘বাজবল’ দর্শনে মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৪ রানের ইনিংসের পথে সাকিব।
[publishpress_authors_box]

মহাকাব্যেরও শেষ পৃষ্ঠা থাকে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের মহানায়ক সাকিব আল হাসানও শেষ দেখে ফেললেন। কানপুরে আজ (বৃহস্পতিবার) টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব।

টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য ৬ মাস বা এক বছর পর ফেরার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে রেখেছেন নিজেই। তবে টেস্টে ফিরবেন না আর। মিরপুরে খেলার সুযোগ না পেলে কানপুরেই হবে তার শেষ টেস্ট। সেই সম্ভাবনা উড়িয়েও দেওয়া যায় না। কারণ বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ স্পষ্টই বলেছেন, ‘‘এটা আমাদের বা বিসিবির হাতে না (মামলার জন্য গ্রেপ্তার হবেন কিনা)।’’

টেস্ট ক্যারিয়ারের অস্ত যাওয়ার আগে দেখে নেওয়া যাক এই ফরম্যাটে সাকিবের সেরা পাঁচ পারফর্ম্যান্স।

১ অস্ট্রেলিয়া, মিরপুর ২০১৭, ৫/৬৮, ৫/৬৫ ও ৮৪ রান

তামিমের সঙ্গে গড়েছিলেন ১৫৫ রানের জুটি।

মিরপুর টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ২০ রানে হারানোর নায়ক ছিলেন সাকিব। প্রথম ইনিংসে ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। তখনই তামিম ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে ‘বাজবল’ ক্রিকেটে সাকিবের পাল্টা আক্রমণ। চতুর্থ উইকেটে দুজন গড়েন ১৫৫ রানের জুটি। প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজেলউড, নাথান লায়নদের সামলে সাকিব খেলেন ১৩৩ বলে ৮৪ রানের ইনিংস। বাংলাদেশ পায় ২৬০ রানের পুঁজি।

এরপর দুই ইনিংসেই বল হাতে নেন ৫টি করে উইকেট। বাংলাদেশ পায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক প্রথম টেস্ট জয়।

২ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেন্ট জর্জেস ২০০৯, ৩/৫৯, ৫/৭০ ও ৯৬*

ওয়েস্ট ইন্ডিজে জয়ের পর।

২০০৯ সালে সেন্ট জর্জেসে প্রথমবার বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেবার দ্বিতীয় সারির দল খেলায়। বল হাতে দুই ইনিংসে সাকিব নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ২১৫ রান।

জবাবে ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। তখনই হাল ধরেন মাশরাফির অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া সাকিব। ব্যাট করেন বুক চিতিয়ে।  ৯৭ বলে ৯৬ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে এনে দেন ৪ উইকেটের জয়।

৩ জিম্বাবুয়ে, খুলনা ২০১৪, ৫/৮০, ৫/৪৪ ও ১৩৭

ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সে খুলনা টেস্টে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন সাকিব। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে করেন ১৩৭। ১৮ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় স্ট্রাইক রেট ছিল ওয়ানডের মতই, ৭৬.১১।

এরপর দুই ইনিংসেই নেন ৫টি করে উইকেট। বাংলাদেশ জয় পায় ১৬২ রানের বড় ব্যবধানে।

৪ শ্রীলঙ্কা, কলম্বো ২০১৭, ২/৮০, ৪/৭৪ ও ১১৬

কলম্বোয় সেঞ্চুরির পথে সাকিব।

শ্রীলঙ্কায় সেই ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশের শততম টেস্ট। মাইলফলকের ম্যাচটিতে ৪ উইকেটে জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন সাকিব। বল হাতে দুই ইনিংসে নেন ৬ উইকেট।

প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৩৩৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ করেছিল ৪৬৭। বড় এই লিডের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সাকিবের ১৫৯ বলে ১১৬ রানের ইনিংসের।

৫ নিউজিল্যান্ড, ওয়েলিংটন ২০১৭, ২/৭৮ ও ২১৭

নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে ক্যারিয়ারের প্রথম ও একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিটি করেন সাকিব। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, নেইল ওয়াগনারের মতো বোলারদের সুইংগিং কন্ডিশনে সামলে ২৭৬ বলে ৩১ বাউন্ডারিতে খেলেন ২১৭ রানের ইনিংস।

ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ওয়েলিংটনের কঠিন কন্ডিশনে।

১৬০ রানে ৪ উইকেট হারানোয় অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল বাংলাদেশের। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৩৫৯ রানের জুটি গড়েন সাকিব। মুশফিক খেলেন ১৫৯ রানের ইনিংস। বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করে ৮ উইকেটে ৫৯৫ রানে।

রানের পাহাড় গড়লেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় এই টেস্টও বাংলাদেশ হেরে যায় ৭ উইকেটে। সাকিবের ক্যারিয়ারে ডাবল সেঞ্চুরিটি হয়ে যায় ট্র্যাজেডি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত