চোখের সমস্যায় হাজার মাইল পাড়ি দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বৃহস্পতিবার রাতেই ফিরেছেন দেশে। শুধু ফেরেননি, সিঙ্গাপুর থেকে এসেই পৌঁছে যান বিপিএলের ভেন্যু সিলেটে। আজ (শুক্রবার) নেমে পড়েছেন খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। পারফরম্যান্স দেখে কে বলবে, গত কয়েকদিন শরীরের ওপর দিয়ে তার কী গিয়েছে! ক্লান্তি স্পর্শ করে না এই অলরাউন্ডারকে- রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে বল হাতে সেটিই যেন জানালেন আরেকবার।
আজ (শুক্রবার) বিপিএলের সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে খুলনা। মোহাম্মদ নওয়াজের হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬০ রান করেছে তারা। স্বভাবতই আগে বোলিংয়ে দেখা গেছে সাকিবকে। বাঁহাতি স্পিনার উইকেট যদিও পাননি, তবে বল হাতে ছিলেন মিতব্যয়ী। লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২১ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা ভীষণ কার্যকরী।
গত ২০ জানুয়ারি ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব। এরপর চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুর। সেখান থেকে এসে সরাসরি পৌঁছে যান সিলেটে। মাঝে কোনও অনুশীলন নেই। বরং শারীরিক সমস্যার সঙ্গে যোগ হয় ভ্রমণ ক্লান্তি। কিন্তু সাকিবের পারফরম্যান্সে সেটির কোনও ছাপ নেই।
তার ফেরার ম্যাচে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। এই স্পিনার শুরুতেই ফেরান খুলনার অধিনায়ক এনামুল হককে (০)। পরে মাহমুদুল হাসান জয়কে (৭) আউট করে তার বোলিং ফিগারটা দাঁড়ায়- ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট।
যদিও উইকেট সংখ্যায় রংপুরের সবচেয়ে সফল বোলার হাসান মাহমুদ। এই পেসার ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
তাদের চমৎকার বোলিংয়ের বিপরীতে ঝড় তুলেছিলেন নওয়াজ। খুলনার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় পর এই পাকিস্তানি ৩৪ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। ৪০ রান করেছেন দাসুন শানাকা। আর ওপেনার এভিন লুইসের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান।