২০০৬ সালের খুলনা, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে একসঙ্গে অভিষেক হয় সাকিব-ফরহাদ রেজার। প্রথম টি-টোয়েন্টি হওয়ায় জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারেরই একসঙ্গে অভিষেক হয়েছিল ওই ম্যাচে। তবে সাকিব-ফরহাদের বিষয়টি ভিন্ন, কারণ তারা দুজনই ছিলেন দলে নতুন মুখ।
একসঙ্গে দুই অলরাউন্ডারের সেই পথচলা খুব বেশিদূর এগোয়নি। পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজা টেস্টে সুযোগই পাননি। শেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১১ সালে, টি-টোয়েন্টি ২০১৪ সালে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলছিলেন ফরহাদ। তবে সব চলন্ত গাড়ীকেই তো থামতে হয়। ফরহাদও থামলেন।
জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডে চট্টগ্রামে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেললেন তিনি। শেষ ম্যাচে ব্যাটে রান ছিল না ফরহাদের। ব্যক্তিগত সাফল্য নেই। তবে দল জিতেছে ৫৪ রানে। রাজশাহীর প্রথম ইনিংসে ২২৬ রানের বিপরীতে ২১২ রান করে সিলেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৬ রান করে রাজশাহী। সিলেটের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০০ রান। কিন্তু ১৪৬ রানে অলআউট হয় তারা।
বিদায় বেলায় ঘরোয়া ক্রিকেটের নতুন রীতি মতো ক্রেস্ট উপহার পেয়েছেন ফরহাদ। সঙ্গে সতীর্থদের উপহার দেওয়া স্বাক্ষর সম্বলিত জার্সি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৪৪ ম্যাচের প্রথম শ্রেনির ক্যারিয়ারে ৫৯০৪ রান করেছেন ফরহাদ নিয়েছেন ৩১৫ উইকেট। লিস্ট এ তে তার অর্জন ২৯৮০ রান ও ২৮৭ উইকেট। জাতীয় দলের হয়ে ৩৪ ওয়ানডেতে ৪১২ রানের পাশাপাশি পেয়েছেন ২২ উইকেট। আর টি-টোয়েন্টিতে ১৩ ম্যাচে ৭২ রান ও ৬ উইকেট।