ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে শুরু তাইজুল ইসলামের। দেশের মাটিতে প্রথম টেস্টে নিয়েছেন ইনিংসে ৮ উইকেট। তবুও তাইজুল ক্যারিয়ার জুড়েই ছিলেন সাকিব আল হাসানের ছায়া হয়ে। নিজে পারফরম করলেও সাকিবকে কেন্দ্র করে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন শুনতে হয় তাকে।
স্বাভাবিক ভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়ার দিনেও “সাকিব না থাকায় স্বস্তি কিনা” এমন প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে তাইজুলকে। তাই একটু মজা করেই বললেন, “ব্যাপারটা এমন হয়ে গেছে যে সাকিব ভাই থাকলেও তার কারণে আমি উইকেট পাই, আবার উনি না থাকলেও তার কারণে উইকেট পাই। আসলে খেলি তো আমি, তাই না!”
এমন মজার উত্তর দেওয়া তাইজুল উপভোগ্য সংবাদ সম্মেলন উপহার দিয়েছেন। ভালো করেও দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এখনও লিটন-শান্তদের মতো তারকা ক্রিকেটারও হয়ে উঠতে পারেননি। এর কারণ সবসময় সাকিবের ছায়ার পড়ে থাকার কারণে। তাইজুল এই ব্যাপারটি এখন মেনে নিয়েছেন।
আরও একবার মজা করে বলেছেন, “আমাদের দেশে অনেক কিছু মুখে মুখে হয়। মানে একজন খারাপ পারফরম্যান্স করেও ট্রল হতে হতে তারকা হয়ে গেছে। আবার অনেক ভালো করেও তারকা হতে পারে নাই। তো আমি এটা মেনে নিয়েছি। মেনে নেওয়া ছাড়া তো উপায় নাই।”
এদিন বাস্তবতাও মেনে নিলেন তাইজুল। সবসময় সাকিবের পেছনে থাকা তাইজুল মাইলফলকের কীর্তিতেও সাকিবের ঠিক পরেই আছেন। পাকিস্তান ও ভারত গত দুই সিরিজের চারটি টেস্টে একাদশে ছিলেন না। এর কারণ টিম কম্বিনেশন। সাকিব না থাকায় টেস্টে এখন অটোমেটিক চয়েজ তিনি।
বাস্তবতা মেনে সাকিব বলেছেন, “বঞ্চিত হওয়ার কিছু নেই। বিশ্বের অনেক বড় ক্রিকেটারদের এমন হয়েছিল। যেমন মুরলিধরনের সময় রঙ্গনা হেরাথ খেলার সুযোগ তেমন ভাবে পাননি। তো আমিও সেটা ভেবে এখন সামনে তাকাতে পারি যেন ভালো কিছু করতে পারি।”
তাইজুল আরও যোগ করেন, “সাকিব ভাই নাই, উনি ছাড়া যে আমি খেলি নাই তা তো না। এমনকি নিউজিল্যান্ডে উনি ছিলেন না টেস্ট জিতেছিলাম। দেশের মাটিতেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ে উনি ছিলেন না আমি পারফরম করেছি। এখন একটা ক্রিকেটারকে কি আপনি ৫০ বছর খেলাবেন?”
তাইজুল অবশ্য সাকিবকে সমীহ করেন। তার সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা নিজের কাছে ধরে রাখতে চান না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে চান।
এক সংবাদ সম্মেলনে এই বাঁহাতি স্পিনার নিজের লক্ষ্যটা বলেছিলেন। ক্যারিয়ার শেষে টেস্টে ৪০০ উইকেটের কোটা স্পর্শ করতে চান। সাকিব না থাকায় ইনজুরিতে না পড়লে এখন আর বাংলাদেশের কোনো টেস্ট মিস করতে হবে না তাকে। এবার কি ৪০০’র দিকে ছুটবেন?
এবারও মজা করেই উত্তর দিলেন তাইজুল, “এটা তো গুনতে হবে। যদি ৫ বছর খেলি কতটা টেস্ট পাব, ওটা ধরে হিসেব করবো। এরপর বলতে পারবো। এখন ৫ বছরে কম টেস্ট পেলে তো সম্ভব না তাই না!”