সাকিব আল হাসানের জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ১৩ আগস্ট। ঠিক সময় মতোই জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় টানা দুই সিরিজ খেলেও ছুটি নেননি সাকিব। সচরাচর বিদেশী লিগ খেলে আন্তর্জাতিক ম্যাচের ঠিক আগেই জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার অভ্যাস তার।
গত বছর একটি সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছিলেন বাড়তি অনুশীলন করার কিছু নেই। কারণ অনুশীলন থেকে নতুন কিছু শিখার নেই তার। এছাড়া সাকিব কখন কোথায় ব্যাট-বল বা ফিটনেস নিয়ে কাজ করেন তা তিনি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েও দেন না।
তাই এমনও অনেকবার হয়েছে জাতীয় দলে ব্যস্ত অনুশীলনে আর সাকিব ছিলেন ছুটিতে। কয়েকদিন বিশ্রাম নিয়ে আন্তর্জাতিক সিরিজের ম্যাচ শুরুর এক-দুদিন অগে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব। আবার এর উল্টোও দেখা গেছে। পুরো দল বিশ্রামে বা অনুশীলন না থাকলেও নিজ উদ্যোগে মাঠে ছুটে গিয়েছেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।
তবে এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণই ভিন্ন। কিছুদিন আগে সাধারণ ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সমর্থন না দিয়ে তরুণ সমাজে খুব সমালোচিত হয়েছিলেন সাকিব। এরপর সরকার পতনের মতো ঘটনায় হারিয়েছেন সংসদ সদস্য পদ। তাই আপাতত দেশে ফেরার ঝুঁকিও নিতে পারছেন না।
এমন অবস্থায় জাতীয় দল থেকে সাকিবকে বাদ দেওয়ার দাবি উঠেছিল সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে। কিন্তু বিসিবি সে পথে হাঁটেনি। দলের সেরা পারফরমারকে যোগ্যতার ভিত্তিতে রেখেই পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করে। এখন সাকিব ভালো ভাবেই জানেন জাতীয় দলের নিয়ম না মেনে চললে সমালোচনা আরও বাড়বে।
তাই ১৩ তারিখ দলের সঙ্গে পাকিস্তান গিয়ে ১৪ তারিখ প্রথম দিন থেকেই লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুশীলনে বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। সাকিব এটাও ভালো করে জানেন পারফরম্যান্স না করলে তার কাঁধে সমালোচনার পাহাড় বাড়বে। অবশ্য চাপের মুখে বরাবরই ভালো খেলেন এই অলরাউন্ডার।
পূর্বের সূচি অনুযায়ী ১৭ আগস্ট ইসলামাবাদে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু দেশে চলমান পরিস্থিতিতে অনুশীলনের সুযোগ ছিল না। তাই পিসিবির আমন্ত্রনে সাড়া দিয়ে ১২ তারিখ পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হন ক্রিকেটাররা।
লাহোরের গিয়ে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তিনদিনের ক্যাম্প করছে বাংলাদেশ। এরপর ১৭ তারিখ ইসলামাবাদে গিয়েও চলবে তিনদিনের অনুশীলন। এরপর ২১ আগস্ট প্রথম টেস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে। আর ৩০ আগস্ট থেকে দ্বিতীয় টেস্ট করাচিতে।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে খেলতে হবে পাকিস্তান-বাংলাদেশকে। সামনের বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ করছে পিসিবি। এই সময়ে তাই দর্শকদের গ্যালারিতে বসে খেলার দেখার সুযোগ করে দিতে পারছে না দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। করাচির পাশাপাশি লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেও সংস্কার চলছে।