চোখের সমস্যা কাটিয়ে ছন্দে ফেরার চেষ্টায় থাকা সাকিব আল হাসান অবশেষে রানে ফিরলেন। সিলেটে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে ঢাকায় পা রেখেই ২০ বলে ৩৪ রান তার। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে তিনটি ছক্কা ও ১টি চার ছিল ইনিংসে। বিশ্বকাপের পর ব্যাটে রান পেলেও সাকিবকে পুরোপুরি ফিট বলা যাবে না।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে সাকিব ব্যাটিংয়ে থাকার সময় পেসারদের বোলিংয়ে টানেনি ঢাকা অধিনায়ক মোসাদ্দেক। নিজে বল করেছেন, সঙ্গে লঙ্কান বাঁহাতি স্পিনার চাতুরঙ্গা ডি সিলভা ও আরাফাত সানিকে বোলিংয়ে এনেছেন। তাই পেসারদের বিপক্ষে সাকিব স্বচ্ছন্দে ব্যাট করতে পারেন কিনা তা বোঝা যায়নি।
এমনিতে স্পিনারদেরও যে সাকিব ঠিকঠাক খেলতে পেরেছেন তা বলা যাবে। তিনটি ছক্কার প্রথমটিতেই তো আউট হতে পারতেন। ১৫ রানে থাকা অবস্থায় ডিপ মিডউইকেটে গুলবাদিন নাইব তার ক্যাচ ফেললে জীবন পান। বল গুলবাদিনের হাতে লেগে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। এরপর আরও দুটি ছক্কা মেরেছিলেন সাকিব।
ওই দুই ছক্কার দুটোই অনেকটা হাফভলি বল ছিল। তাই স্লগ করে অনায়াসে ডিপ মিডউইকেটে বল পাঠাতে পেরেছেন। কিন্তু লাইনের বলগুলো বা সোজা ব্যাটে খেলতে ঠিকই সমস্যা হচ্ছিল সাকিবের। এছাড়া নেটে যেমন একটু ডান দিকে মাথা সরিয়ে বল ফেস করেন ব্যাটিংয়ের সময় সেইরকম ভাবে মাথা ডানদিকে সরিয়ে বল ফেস করেছেন।
কষ্ট করে ব্যাট করলেও সাকিবের কিছু স্লগ যে ব্যাটে-বলে হয়েছে তা স্বস্তির খবর। সিলেটে সবশেষ ম্যাচের পর সাকিব বলেছিলেন, ‘‘আসলে যত রান করব তত কমফোর্ট লেভেল বাড়বে। রান যতক্ষণ করছি না ততক্ষণ রিদমটাও আসবে না স্বস্তির জায়গাটাও থাকবে না এটাই স্বাভাবিক।’’
স্বস্তির পথ ফিরে পাওয়ার শুরুটা পেয়েছেন সাকিব। ২০ বলে ৩৪ রান টি-টোয়েন্টিতে ভালো রান। ২, ২ ও ০ রান করা এক ব্যাটারের জন্য এমন ইনিংস যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক। আবার রান পাওয়ার দুশ্চিন্তাও কমবে সাকিবরে। তখন দুশ্চিন্তা থেকে চোখের সমস্যাটা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমতে পারে।
সাকিবের ৩৪ রানের পাশাপাশি দুই ওপেনার রনি তালুকদারের ২৪ বলে ৩৯ ও বাবর আজমের ৪৩ বলে ৪৭ রানে বড় সংগ্রহের দিকেই ছিল রংপুর রাইডার্স। শেষদিকে মোহাম্মদ নবি মাত্র ১৬ বলে ৩ ছক্কায় ২৯ রান করে দলকে ৪ উইকেটে ১৭৫ রানের পুঁজি এনে দেন।