আচমকা অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কানপুরে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাঁহাতি অলরাউন্ডার টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কেন এই সিদ্ধান্ত- এমন প্রশ্নে সাকিব জানিয়েছেন, কষ্ট কিংবা অভিমান থেকে সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।
খেলোয়াড়ি জীবনের মাঝেই রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে-পরে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন এই ক্রিকেটার। সরকার পতনের পর হত্যা মামলাতেও নাম জড়ায় সাকিবের।
স্বাভাবিকভাবেই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার। তবে মাঠের বাইরের এইসব ইস্যুতে অবসরের সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সাকিব নিশ্চিত করেছেন, “কষ্ট কিংবা অভিমান থেকে (সিদ্ধান্ত) নেওয়া নয়। আমার মনে হয় এটাই সঠিক সময়, সরে যাওয়ার জন্য এবং নতুনদের আসার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য।”
গোটা ক্যারিয়ারে কোনও আক্ষেপ-অনুশোচনা নেই সাকিবের, “আমি খুশি। কোনও অনুশোচনা নেই। জীবনে কখনও অনুশোচনা ছিল না। এখনও নেই। যতদিন উপভোগ করেছি, আমি ক্রিকেট খেলেছি। আমার মনে হয়েছে, এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও আমার জন্য সঠিক সময়। যে কারণে এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া। কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক, বোর্ড- সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।”
টি-টোয়েন্টিতে তরুণদের সুযোগ দিতে এই ফরম্যাটে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেছেন, “অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলে ফেলতে চাই, টি-টোয়েন্টি নিয়েও আমার কথা হয়েছে। বোর্ডের সবার সঙ্গে, নির্বাচকদের সঙ্গে, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে, টি-টোয়েন্টি থেকেও আমি সরে যাই। আপাতত পরের যে সিরিজগুলো আছে, নতুন খেলোয়াড় আসুক, সুযোগ দেওয়া হোক।”
সঙ্গে যোগ করেছেন, “এই সিরিজগুলো আমার খেলার কোনও কারণ আছে বলে মনে করি না। আমার মনে হয় নতুনদের সুযোগ দেওয়া উচিত। তাদের দেখার এটাই সবচেয়ে ভালো সুযোগ। ২০২৬ সালের দিকে যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট তাকায়, তাহলে এটাই বাংলাদেশের জন্য ভালো।”