Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

হত্যাচেষ্টা মামলায় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ কারাগারে

shamim al saiful sohag
[publishpress_authors_box]

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে এক রিকশাচালককে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলায় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগসহ দুইজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

ঢাকার মহাখালীতে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) ফটকের সামনে মো. সোহাগ নামে এক রিকশাচালক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এ মামলা করা হয়। একই মামলায় কারাগারে যাওয়া আরেক আসামী হলেন রাশেদ খান।

মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন বনানী থানার উপপরিদর্শক মো. নুরউদ্দিন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মহাখালীর আইসিসিডিডিআর,বির গেটের সামনে মো. সোহাগকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৬৮ জনের নামে গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলা করেন আহতের বাবা মো. নুরুল ইসলাম। এই মামলায় আসামি করা হয় শামীম আল সাইফুল সোহাগকে।

মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্যান্য আসামিরা হলেন, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শেখ সেলিম, সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) গেটের সামনে সোহাগ গুলিবিদ্ধ হন। আসামিদের নির্দেশে তাকে গুলি করা হয় বলে মামলায় অভিযোগে উল্লেখ করেন সোহাগের বাবা নুরুল ইসলাম।

গত ১১ নভেম্বর ঢাকার বনানী কবরস্থানে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে শামীম আল সাইফুল সোহাগকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

শামীম আল সাইফুল সোহাগ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি। সেখানে নৌকার টিকিট না পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। সেখানেও পরাজিত হন তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত