দুর্নীতির আলাদা দুই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
এর মধ্যে শামীম ইস্কান্দার দম্পতির বিরুদ্ধে মামলাটি প্রায় দেড় যুগ আগের।
মঙ্গলবার মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ছিল। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মো. কবির উদ্দিন প্রামাণিকের আদালতে এই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন শামীম ইস্কান্দার ও কানিজ ফাতেমা।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠু জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চান। দুদক এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেয়।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০০৭ সালে সম্পদের তথ্য চেয়ে শামীম ইস্কান্দারকে নোটিশ দেয় দুদক। কিন্তু সে নোটিশের পর সম্পদের তথ্য গোপন করায় তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষে মামলার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরের বছর ঢাকার রমনা থানায় সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে এই মামলা করে দুদক।
দুর্নীতির মামলায় খালাস বিএনপি নেতা বুলু
চার কোটি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একই দিন বুলুকে বেকসুর খালাস দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এদিন দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে দাবি করে তিনি আসামির সর্বোচ্চ সাজা প্রার্থনা করেন।
অন্যদিকে বুলুর পক্ষে আমিনুল ইসলাম যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি দাবি করে তিনি বরকত উল্লাহ বুলুর খালাস চান।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বুলুকে বেকসুর খালাস দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি সোহানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বরকত উল্লাহ, তার স্ত্রী শামীমা আক্তার এবং ছেলে ওমর শরীফ মো. ইমরান (সানিয়াত) এর বিরুদ্ধে দুদকের তৎকালীন সহকারি পরিচালক মনজুর আলম রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৬১ হাজার ২১১ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জ করেন। কিন্তু দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিন কোটি ৩৭ লাখ ১৪ হাজার ১১৭ টাকার সম্পদের তথ্য দেন।
একই বছরের ২০ আগস্ট মামলাটি তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মনজুর আলম। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত বরকত উল্লাহ বুলুর স্ত্রী ও ছেলের মামলা বাতিল করেন।
বরকত উল্লাহ বুলুর বিরুদ্ধে আনা ৫৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার বিচার চলছিল।
২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভূক্ত ৬৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।