২০২৩ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চেন্নাইয়ের ম্যাচে ঘটনাটি ঘটেছিল। পানি পানের বিরতির সময় মাঠে ক্রিকেটারদের জন্য পানি নিতে একটু দেরি করায় একাদশের বাইরের ক্রিকেটার নাসুম আহমেদের গায়ে হাত তোলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
বিসিবির কারণ দর্শাও নোটিশের জবাবে বিষয়টি কৌশলে অস্বীকার করেছেন হাথুরুসিংহে। এবার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বললেন এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না তিনি।
নাসুমের গায়ে হাত তোলার কান্ডে এক বছরের ব্যবধানে চাকরি হারাতে হলো হাথুরুসিংহেকে। বিসিবির সাবেক পরিচালনা পর্ষদ ব্যাপারটি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
অবশ্য সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কিছু বলা ছিল না বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু গত সপ্তাহে বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছিলেন আগের এবং নতুন তদন্ত রিপোর্টে ক্রিকেটারের গায়ে হাথুরুর হাত তোলার সত্যতা পাওয়া গেছে।
হাথুরু অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সঠিক জবাব দেননি। জানিয়েছেন এতদিনে ওই ক্রিকেটার কাউকে কিছু বলেননি এবং ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামে থাকা সিসিটিভিতেও এমন কিছু ধরা পড়েনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের কয়েকদিন আগে তার বরখাস্ত হওয়ার ঘটনা স্বাভাবিক ভাবেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রভাব পড়েছে।
তাই প্রথম ম্যাচের সংবাদ সম্মেলনেও বিষয়টি এসেছে। ক্রিকেটারের গায়ে হাত তোলার ঘটনা ঘটেছিল কিনা জানতে চাওয়া হলে শান্ত জবাবে বলেছেন, “আমি আসলে এমন কিছু জানি না, সত্যি বলছি আমি জানি না।”
শান্তর দাবি অবশ্য একেবারে মিথ্যে নয়। ম্যাচের ওই সময়ে বাংলাদেশ দল ফিল্ডিংয়ে ছিল। তখন শান্ত ছিলেন মাঠে। তার পক্ষে ড্রেসিংরুমে কি হচ্ছে তা জানা ওই মুহূর্তে সম্ভব নয়। কিন্তু পরবর্তীতে ড্রেসিংরুমে ফিরে অবশ্যই এ ব্যাপারে জেনেছিলেন শান্ত। গত এক বছরে নানা ঘটনাচক্রে এ ব্যাপারটি নিয়ে শান্তর অজনা থাকার কথা না।
অবশ্য শান্ত নিশ্চিত করলেন এমন কিছু ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে আর ঘটবে না। এ থেকে অবশ্য বোঝা যায় শান্ত বিষয়টি জেনেছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি মাথায় রেখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট শুরুর আগের দিন আর জলঘোলা করতে চাইলেন না।
তাই হাথুরুকে আপাতত ভুলে যেতে চাইলেন বর্তমান অধিনায়ক, “হাথুরুর অধীনে আমরা কিছু ম্যাচ জিতেছি, কিছু হেরেছি। ভালো ও খারাপ সময় দুটোই ছিল। এখন আসলে পেছনের দিকে তাকিয়ে লাভ নেই। সামনে দেখতে হবে। অতীত ভুলে আমরা নতুন ভাবে কি করতে পারি সেটা গুরুত্বপূর্ণ।”