২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে নেতৃত্বের শেষ ম্যাচটি খেলেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সবাই মাশরাফিকে কাঁধে নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করেছিলেন। এইতো কিছুদিন আগে মাহমুদউল্লাহকে তার শেষ ম্যাচে ক্রেস্ট দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা, গার্ড অব অনারও দেন।
মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিবের জন্য কেমন কিছু হয়তো ভেবে রেখেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। হতে পারে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডারের জন্য আরেকটু বেশি কিছুর পরিকল্পনা রেখেছিলেন তারা। শেষ পর্যন্ত সব ভেস্তে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
সাকিব তার ক্যারিয়ারের গত টেস্টটি খেলেছেন কানপুরে। মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা ওই ম্যাচের আগে প্রকাশ করেছিলেন। নানা জটিলতা পার হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয় তার। শেষ মুহূর্তে সাকিবের নিরাপত্তার স্বার্থে খেলার জন্য তাকে দেশে আসতে বারণ করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
কারণ সাকিবকে খেলতে না দেওয়ার জন্য একটা গ্রুপ প্রতিবাদ করে। এতেই চিন্তিত হয়ে পড়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ব্যাপারটা শান্তদের খুব ব্যথিত করেছে। সাকিবকে নিজেদের মতো করে বিদায় দেওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন তারা।
সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে প্রথম টেস্টের সংবাদ সম্মেলনে আক্ষেপ করে শান্ত বলেছেন, “সাকিব ভাইকে আমাদের নিজেদের মতো করে ভালো একটা বিদায় দেওয়া পরিকল্পনা ছিল। যেহেতু তিনি শুধু বাংলাদেশেরই নন, বিশ্বের একজন সেরা ক্রিকেটার। খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে ওটা হয়নি। তো আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, শুধু আমি না প্রতিটা ক্রিকেটার মনে করে এই ব্যাপারটা হয়তো পেন্ডিং-ই থেকে গেল।”
ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার পরপরই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হতে হয়েছিল শান্তদের। অনুশীলনেও নেমে পড়তে হয় দ্রুত। কিন্তু শুরু থেকেই সাকিবের দেশে ফেরার জটিলতা ও পরে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিদায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের বাজার গরম করে রাখে।
এই অবস্থায় মাত্র কিছুদিন পর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে মনঃসংযোগ রাখা কঠিন ছিল। শান্তও তা জানালেন, “ক্রিকেটের জন্য মানসিক অবস্থা এই মুহূর্তে ধরে রাখা একটু কঠিন। তবে কিছু করার নেই। এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করা সময় নষ্ট। আমরা যতবেশি সম্ভব ক্রিকেটে ফোকাস রাখার চেষ্টা করছি। আমরা ওটাতেই থাকার চেষ্টা করছি।”