নতুন বলে জাতীয় দলের অপরিহার্য পেসার শরিফুল ইসলাম। গত বছর এবাদত হোসেন ইনজুরিতে পড়ায় এই তরুণ পেসার নিয়মিত হয়েছেন। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ২০২৩ সালটি দারুণ কাটিয়েছেন শরিফুল।
শরিফুল ২০২৩ এর ধারাবাহিকতা টেনেছেন এ বছরও। বিপিএল দিয়ে শুরু হওয়া নতুন বছরে শুধু বোলিং সাফল্যই নয়, বোলিংয়ে বৈচিত্র্যও এসেছে তার। নতুন বলে সুইং আগের চেয়ে নিখুঁত হয়েছে। রিস্ট পজিশনে উন্নতি করে বল দুদিকেই সুইং করাতে পারছেন। সব মিলিয়ে বোলিং অস্ত্রে ধার বেড়েছে এই পেসারের।
শুক্রবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল। এবারের বিপিএল ৫ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১০ উইকেট এখন তারই।
শরিফুলের ভালো বোলিংয়ের রহস্য নিয়ে তার জাতীয় দল ও বিপিএল সতীর্থ তাসকিন আহমেদ বলেছেন, “সম্প্রতি শরিফুল দারুণ ফর্মে আছে। ওর কবজির পজিশন, সিম পজিশন অনেক উন্নতি হয়েছে। আগে ও সুইং কম পেত। সম্প্রতি ওর বলে সুইংটা ভালো হয়েছে। কদিন আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজেও দারুণ বোলিং করেছে।’’
বিপিএলে ঢাকার শরিফুল-তাসকিন বোলিং জুটি নিয়ে শুরু থেকেই আলোচনা ছিল। নতুন বলে জাতীয় দলেও বোলিং ইনিংসের শুরু করেন দুজনে। বিপিএলে একসঙ্গে হওয়ায় সেই বোঝাপড়াটা নিয়ে এসেছেন দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে বোলিং আক্রমণে।
বিপিএল অভিজ্ঞতা তাদের দুজনকেই জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে বলে জানান তাসকিন, ‘‘অবশ্যই সাহায্য করবে। আমরা ৫-৬ জন গত কয়েক বছর ধরে একসঙ্গেই খেলছি। কারও কোনো ঘাটতি থাকলে একজন আরেক জনেরটা ধরিয়ে দিতে পারি। এই জিনিসগুলো আমাদের বন্ধনকে আরও শক্ত করছে। যেটা আমাদের সামনের দিনে অনেক খেলা আছে (জাতীয় দলে), ওখানেও সাহায্য করবে। আশা করি ভালো হবে।”
২০২৩ সালটি শরিফুলের সেরা ছিল ওয়ানডেতে। বিশ্বকাপ, এশিয়াকাপ সহ মোট ১৯ ম্যাচে ৩২ উইকেট নিয়েছেন। মাত্র ৪ টেস্ট খেলে পেয়েছেন ১২ উইকেট । টি-টোয়েন্টিতে ৫ ম্যাচে তার শিকার ৮ উইকেট।
টেস্ট ও ওয়ানডেতে ভালো করে দলে জায়গা পাকা করেছেন শরিফুল। এবার বিপিএলে ভালো করে টি-টোয়েন্টিতেও নিজেকে সেরার জায়গায় নিয়ে এসেছেন এই পেসার।