একটা ম্যাচ হারলে সাধারণত এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে দেখা যায় একাদশে দুই-তিনটা বদল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেটা হয়নি। প্রথম ম্যাচ হারার পরও একই একাদশ নিয়ে খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।
৯ মার্চ অলিখিত ফাইনালেও কি একই একাদশ দেখা যাবে? শঙ্কাটা ছিল শরীফুল ইসলামকে ঘিরে। ফলো থ্রুতে বল থামাতে গিয়ে ডান হাতে ব্যথা পেয়েছিলেন তিনি।
সিলেটে কাল (বৃহস্পতিবার) করা হয়েছে শরীফুলের এক্সরে। তাতে চিড় ধরা পড়েনি। কমে এসেছে ব্যথা। তাই শেষ ম্যাচে শরীফুলকে পাওয়ার আশা করতেই পারেন শান্তরা।
বিসিবিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দ্বিতীয় ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন শরীফুল, ‘‘আমি মেডেন দিয়ে শুরু করেছিলাম। টি-টোয়েন্টিতে এটা দারুণ ব্যাপার। উইকেট না পেলেও কেবল ২০ রান দিয়েছি। এই ফরম্যাটে ওভারে ৬ করে রান দিতে পারাটাই সাফল্যের।’’
আজ (বৃহস্পতিবার) ছিল দলের ঐচ্ছিক অনুশীলন। অনেকে বিশ্রামে থাকলেও অনুশীলনে এসেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, তাইজুল ইসলাম, তানজিম হাসান। তবে টি-টোয়েন্টিতে না থাকলেও চলে এসেছেন ওয়ানডে স্কোয়াডের খেলোয়াড়রা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুশীলনেও এসেছিলেন মুশফিকুর রহিম, তানজিদ হাসান তামিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করে পরের দিন মুশফিকরা যাবেন চট্টগ্রামে। সেখানেই ১৩, ১৫ ও ১৮ মার্চ হবে সিরিজের তিনটি ওয়ানডে।
নেট বোলার ও থ্রোয়ারের বিপক্ষেই আজ (বৃহস্পতিবার) ব্যাটিং করেছেন ব্যাটাররা। জাতীয় দলের পেসারদের মধ্যে এসেছিলেন তানজিম হাসান। তার বলে অবশ্য ভুগতে দেখা গেছে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দলের ব্যাটারদের।
অনুশীলন শেষে নেট বোলারদের আবদার মিটিয়েছেন মুশফিক। ছবি তুলেছেন তাদের সঙ্গে।