বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়া শেখ হাসিনা ভারত থেকে লন্ডনে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে যুক্তরাজ্য তার আশ্রয়ের আবেদন গ্রহণ করার আগ পর্যন্ত ভারতেই থাকবেন তিনি।
ডেইলি সানে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার পর বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আপাতত ভারতে থাকার অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। তবে তা সাময়িক সময়ের জন্য। যুক্তরাজ্য তার আশ্রয়ের আবেদন গ্রহণ করার আগ পর্যন্ত ভারতে থাকতে পারবেন তিনি। এই সময়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত তার ছোট বোন শেখ রেহানার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব রয়েছে। তাকে সঙ্গে নিয়েই যুক্তরাজ্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন শেখ হাসিনা।
তবে ডেইলি সান জানিয়েছে, শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।
শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য।
এদিকে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এনডিটিভি বলছে, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত।
শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর সোমবার বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকা-উজ-জামান জানান, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে।
একই দিন রাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনও জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে অনতিবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে।