কোটা সংস্কার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে চট্টগ্রামে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেনকে। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরে যুক্ত।
শনিবার রাতে নগরীর কুয়াইশ বুড়িশ্চর এলাকার অনন্যা আবাসিকের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ১৫ জুলাই সহিংসতায় রূপ নেয়, যা একপর্যায়ে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
এরই ধারাবাহিকতায় বন্দরনগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় ১৮ জুলাই পুলিশের ওপর হামলা হয়। সেদিন তিনজনের প্রাণহানিও হয়।
এই দুই ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় সারোয়ারের নাম সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবির।
তিনি বলেন, “বহদ্দারহাটে সহিংসতার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে সারোয়ারের নাম তদন্তে উঠে এসেছে।”
চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগে সারোয়ারের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা আছে। ২০২০ সালে গ্রেপ্তারের পর জামিনে ছাড়া পেয়ে তিনি পলাতক ছিলেন বলে ওসি জাহিদুল জানান।
সে বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সারোয়ারকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরদিন তাকে চট্টগ্রামে এনে বায়েজিদ থানার খন্দকীয়া পাড়ায় তার বাসায় অভিযান চালিয়ে ৩০ রাউন্ড গুলিসহ একটি একে-২২ রাইফেল, একটি এলজি রাইফেল উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রামে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় দেড় দশক আগে আলোচনায় ছিলেন সারোয়ার। সে সময় তিনি পরিচিত ছিলেন চট্টগ্রামে আট ছাত্রলীগ নেতা খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাজ্জাদ হোসেন খানের অন্যতম সহযোগী হিসেবে।
মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে বর্তমানে ভারতের কারাগারে বন্দি আছেন সাজ্জাদ।