বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ছয়টি বিভাগে নতুন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
একই সঙ্গে একাডেমির চারজন পরিচালকের চুক্তির অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার আলাদা প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নবনিযুক্ত ছয় পরিচালককে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নতুনদের মধ্যে একাডেমির সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মেহজাবীন রহমান।
মঙ্গলবার সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “আমাদের কাজ হবে অল ইনক্লুসিভ। বৈষম্যহীনভাবে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। সারাদেশে শিল্পকলা একাডেমি আছে, সেগুলোকে একটা স্টান্ডার্ড অবস্থানে নিতে চাই। দেশের জন্য কাজ করতে চাই।”
মিউজিক অ্যালায়েন্স ওয়ার্ল্ড অ্যাওয়ার্ড- মঁ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে শাস্ত্রীয় সংগীত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন মেহজাবীন।
এছাড়া চারুকলা বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন মোস্তফা জামান, নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগে ফয়েজ জহির, গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগে তানজিম ওয়াহাব, প্রযোজনা বিভাগে আব্দুল হালিম চঞ্চল এবং প্রশিক্ষণ বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন এ এফ এম নুরুর রহমান।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বিভিন্ন বিভাগে পরিচালকের ৬টি পদ রয়েছে। এই পদগুলোতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। দুটি পদের চুক্তির মেয়াদ ইতিমধ্যে উত্তীর্ণ হওয়ায় অনেক দিন ধরেই খালি ছিল।
চারটিতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া পরিচালকরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই অফিসে যাচ্ছিলেন না।
বিগত সরকারের সময় একাডেমির চারুকলা বিভাগে পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন সৈয়দা মাহবুবা করিম, সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগে কাজী আফতাব উদ্দিন হাবলু, গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগে জ্যোতিকা পাল জ্যোতি এবং প্রযোজনা বিভাগে ছিলেন সোহাইলা আফসানা ইকো।
সোমবার এই চারজনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। পরে নন্দিত নাট্যনির্দেশক ও শিক্ষক সৈয়দ জামিল আহমেদকে মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেয় সরকার।