Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কক্সবাজার থেকে জাহাজে খাদ্যপণ্য গেল সেন্ট মার্টিনে

নাফ নদীতে গুলিবর্ষণ হওয়ায় বিকল্প পথে কক্সবাজার থেকে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পাঠানো হলো জাহাজ।
নাফ নদীতে গুলিবর্ষণ হওয়ায় বিকল্প পথে কক্সবাজার থেকে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পাঠানো হলো জাহাজ।
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, কক্সবাজার

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, কক্সবাজার

মিয়ানমারের সংঘাতের মধ্যে নাফ নদীতে সেন্ট মার্টিনগামী নৌযানে গুলিবর্ষণের কারণে ওই পথ এড়িয়ে দ্বীপবাসীর জন্য কক্সবাজার শহর থেকে খাদ্যপণ্য নিয়ে রওনা হয়েছে একটি জাহাজ।

জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের পর এমভি বার আউলিয়া নামের জাহাজটি শুক্রবার দুপুরের পর কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বাঁকখালী নদীর বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে যাত্রা করে।

জাহাজটিতে ২০০ মেট্রিক টন চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী রয়েছে বলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন জানিয়েছেন।

ওই সঙ্গে জাহাজেই ফিরছেন নানা প্রয়োজনে সেন্ট মার্টিন থেকে আসা দেড় শতাধিক মানুষ, নাফ নদীতে গোলাগুলির কারণে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যারা আটকে পড়েছিলেন।

বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা ১০ হাজারের মতো। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়নের মর্যাদা নিয়ে আছে এই পর্যটন কেন্দ্রটি।

বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে সেন্ট মার্টিনে নৌযান চলাচল করে টেকনাফ থেকে নাফ নদী দিয়ে। নাফ নদীর এক পাশে বাংলাদেশ, আরেক পাশে মিয়ানমার।

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘাতের মধ্যে গত কিছু দিন ধরে নাফ নদীতে চলাচলরত নৌযান লক্ষ্য করে গোলা ও গুলিবর্ষণ হচ্ছে ওপার থেকে।

সেই কারণে সাত দিন ধরে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপবাসী যেমন খাবার সংকটে পড়েন, তেমনি যাওয়া-আসাও বন্ধ হয়ে যায়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত ও সেন্ট মার্টিন রুটে নৌযানের ওপর মিয়ানমার থেকে তিন দফায় গুলিবর্ষণের ঘটনায় ওই রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়। যে কারণে দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দাদের খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংকট দেখা দেয়। এই অবস্থায় বুধবার জেলা প্রশাসনের বিশেষ সভায় বিকল্প পথে সেন্ট মার্টিনের যাতায়াতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

“এ সিদ্ধান্তের আলোকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) বঙ্গোপসাগরের সাবরাং মুন্ডার ডেইল উপকুল ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল শুরু করা হয়েছে। আজ খাদ্যপণ্য নিয়ে পাঠানো হলো ‘এমভি বার আউলিয়া’ জাহাজটি। জাহাজে পাঠানো খাদ্য দিয়ে আগামী এক মাস দ্বীপের বাসিন্দারা চলতে পারবে।”

এমভি বার আউলিয়ার পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান, এই জাহাজ প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পর্যটন মৌসুম অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করে আসছিল। এখন দ্বীপবাসীর প্রয়োজনে জাহাজটি পাঠানো হল।

এটি শনিবার সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে কক্সবাজারে ফিরবে জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বীপের কোনও বাসিন্দা জরুরি প্রয়োজনে কক্সবাজার আসতে চাইলে ওইদিন আসতে পারবেন।

প্রশাসন যতদিন চাইবে, ততদিন জাহাজটি চলবে বলে জানান বাহাদুর।

এদিকে সাতদিন পর বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় বিকল্প পথে সেন্ট মার্টিনে ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল এলাকার সাগর উপকূলের পয়েন্ট দিয়ে সেন্ট মার্টিন থেকে তিনটি ট্রলারে ৩ শতাধিক মানুষ টেকনাফ আসেন। একই সঙ্গে ৩ শতাধিক মানুষ দ্বীপে গেছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত