ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানায় করা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট।
তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জিসান হায়দার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ইব্রাহিম খলিল।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর শমী কায়সারকে ৩ মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দেয় হাই কোর্ট। একই সঙ্গে তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
এ আদেশের পরদিন জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে এ আবেদনের শুনানি নিয়ে ১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক জামিন স্থগিত করে আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
পরে আপিল বিভাগ জামিন আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য ফের হাই কোর্ট বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। এ বিষয়ে আবেদনটি শুনানি নিয়ে শমী কায়সাকে জামিন দিলো হাই কোর্ট।
এর আগে শমী কায়সারের জামিন আবেদন নিম্ন আদালত নামঞ্জুর করেছিল।
শমীর বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই আজমপুর হাবিবুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেন মামলার বাদী ইশতিয়াক। সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে তিনি নিজেই গত ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এই মামলায় গত ৫ নভেম্বর ঢাকার উত্তরা থেকে অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ৬ নভেম্বর শমী কায়সারকে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত।
রিমান্ড শেষে গত ৯ নভেম্বর ফের অদালতে তোলা হয় তাকে। সেদিন আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে শমী কায়সারকে কারাগারে পাঠান হয়। এর পর থেকে তিনি কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আছেন।