জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার আন্দোলন দমাতে শুটিং ফেডারেশনের অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছিল! এরকম দাবি করেছেন এই আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার পল্টন ভলিবল স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপ ভলিবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করতে এসে এমন কথা বলেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য গঠিত কমিটিকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে বাকি সব ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাডহক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রায় এক মাস আগে সময় বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েও কোনও জবাব পায়নি সার্চ কমিটি। তবে শনিবার যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, সার্চ কমিটিকে আরো সময় দেওয়া হবে।
ক্রীড়া উপদেষ্টা সার্চ কমিটির কাজে সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেছেন, “সার্চ কমিটির বিষয়ে আমাদের লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সময়ের মধ্যে পারা যায় ফেডারেশনগুলো পুর্নগঠন করা। তবে অবশ্যই সেটাতে সতর্কতা জরুরী। কারণ বিগত সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ফেডারেশনগুলোতে ছিলেন।”
এরপর তিনি জুলাই অভ্যুত্থান দমনে শুটিং ফেডারেশনের অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, “শুটিং ফেডারেশেনের বিভিন্ন জায়গার অ্যামুনেশন এবং অস্ত্র জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফেডারেশনের দায়িত্বশীলদের সহযোগিতায় ব্যবহৃত হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা একটু সতকর্তার সঙ্গে কমিটিগুলো পুনর্গঠন করেছি। সার্চ কমিটিকেও তাগাদা দিচ্ছি যাতে পরবর্তীতে কমিটিগুলো করতে পারি এবং স্পোর্টসের প্রাণ ফেরাতে পারি। সেক্ষেত্রে সময় এবং সবকিছু বিবেচনা করে সার্চ কমিটির সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য গত বছর ২৯ আগস্ট ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। কমিটি গঠনের শুরুতেই বিতর্ক তৈরি হলে গত ১ অক্টোবর পুনর্গঠন করা হয় সার্চ কমিটি। দেশে ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন ৫৫টি। ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন হয়েছে গত বছর ২৬ অক্টোবর। ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিসহ কয়েকজন পরিচালক পরিবর্তন হয়েছে। বাকি ৫৩ ফেডারেশনের কমিটি গঠন হচ্ছে সার্চ কমিটির প্রস্তাবে। ৭ মাসে নতুন কমিটি পাওয়া গেছে ২৬টির।
চলতি অর্থ বছর শেষ হতে চলেছে। ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ এ সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারলে আগামী অর্থ বছরে চাহিদামতো অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে। যে কারণে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় চাইছিল ২০ এপ্রিলের মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনের সব সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে। তবে মন্ত্রণালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও সার্চ কমিটির মধ্যে সমন্বয়হীনতা আরও তীব্র হওয়ায় সংস্কার সময়মতো শেষ হয়নি। এখন মন্ত্রণালয় সময় বাড়িয়ে দিতে যাচ্ছে সার্চ কমিটিকে।
