শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাণ হারানো ওই তরুণীর নাম শেখ সুমাইয়া সুমু (১৯)।
নড়িয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বৈশাখীপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সুমু নড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নড়িয়া পৌরসভার বৈশাখী পাড়া এলাকার আবু বকর শেখের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ছিল শেখ সুমাইয়ার জন্মদিন। নড়িয়া বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন শেষে রাতে বাসায় ফেরেন তিনি। তারপর নিজের ঘরের দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে শুয়ে পড়েন।
মধ্যরাত থেকে সুমাইয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল আসতে শুরু হয়। রিংটোনের শব্দে ঘুম ভেঙে সুমাইয়াকে ডাকাডাকি করেন পরিবারের সদস্যরা। ভেতর থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে সুমাইয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখেন তারা। পরে নড়িয়া থানা পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মোক্তারের চর ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা শেখ বলেন, “সুমাইয়া আমার ভাতিজি। রাতে নামাজ পড়তে উঠলে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ পাই। তখন দ্রুত ছুটে গিয়ে দেখি সুমাইয়ায় ঘরের দরজা ভেতর থেকে আটকানো।
“পরে দরজা ভেঙে ভেতরে গেলে ওরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। জানতে পারলাম মৃত্যুর আগে থেকেই ময়মনসিংহের একটি ছেলে সুমাইয়ার মোবাইলে বারবার কল দিচ্ছিল।”
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে জানিয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, “ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করল তদন্ত শেষে তা বলা যাবে।”