Beta
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫

চাঁদাবাজির অভিযোগে দলের ভাইস চেয়ারম্যানকে বিএনপির শোকজ

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।
[publishpress_authors_box]

চাঁদাবাজি, অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার ছেলে সামির কাদের চৌধুরীকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিস) করেছে বিএনপি।

এ ছাড়া গিয়াস উদ্দিনের দুই অনুসারী– রাউজান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হুদা চেয়ারম্যান ও ফিরোজ আহমেদ মেম্বারকেও একই অভিযোগে আলাদাভাবে শোকজ করেছে বিএনপি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মঙ্গলবার তাদের কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়ে তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাই। রাউজান এলাকা থেকে তিনি ১৯৯৬ সালে বিএনপির মনোনয়নে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ ও ২০০৮ সালে তিনি একই আসনে চাচাত ভাই আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর কাছে হেরে যান। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোয়নপত্র জমা দিলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।

ফটিকছড়ি ছাত্রলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিনের দায়ের করা এক মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর ২০১৯ সালে জামিনে বেরিয়ে বিদেশ চলে যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১০ আগস্ট তিনি নিজ এলাকা রাউজানে ফেরেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিসে বলা হয়েছে, “এলাকায় দলমত নির্বিশেষে ধনী ব্যবসায়ীর তালিকা করে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায়; ওমানে বসবাসরত সিআইপি ব্যবসায়ী ইয়াসিনের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা চাঁদা দাবি, চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীদের দিয়ে ইয়াসিনের রাউজানের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া।

“সিআইপি ব্যবসায়ী মো. ফোরকানের কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে সন্ত্রাসীদের দিয়ে ফোরকানকে নির্মম শারীরিক নির্যাতন, আপনার সন্ত্রাসীরা দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থানরত রাউজানের ব্যবসায়ীদের ওপর ঢালাও চাঁদাবাজির মাধ্যমে এলাকাকে আতঙ্কের জনপদে পরিণত করা ইত্যাদির অভিযোগ জমা হয়েছে।”

নোটিসে আরও বলা হয়, “’স্বঘোষিত কমিটি ঘোষণা করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আপনি ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে বলেন, ‘রাউজান কমিটি গঠন করতে কারোর প্রয়োজন নেই, আমার এলাকা আমি করব।’

এ ধরনের বক্তব্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বের প্রতি চরম অনাস্থা ও ধৃষ্টতা- উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, “দীর্ঘ ৬ বছর বিদেশে থেকে নতুন সরকারের শুরুতে দেশে এসে দেশ-বিদেশের সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে রাউজানে আপনি অস্থিরতা ও মারাত্মক আতঙ্ক তৈরি করেছেন, যা রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ডসহ উত্তরের অন্যান্য নির্বাচনী এলাকায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

“সুতরাং আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার যথাযথ কারণ দর্শিয়ে আগামী তিনদিনের মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত