কয়েক দফা বলার পরও যখন কাজ হলো না, তখন বিসিসিআই দিল কড়া হুঁশিয়ারি। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতেই হবে ভারতীয় খেলোয়াড়দের, না হলে তাদের ওপর পড়বে ‘গুরুতর প্রভাব’। তাতেও কাজ হচ্ছে না। চোটের কথা বলে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার। অথচ মেডিক্যাল টিম বলছে, কোনও ইনজুরি নেই তার। তবে কি বোর্ডের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠলেন শ্রেয়াস?
ইশান কিশানের রঞ্জি না খেলা নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। ভারতের প্রথম শ্রেণি ক্রিকেট না খেলে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী চলছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। বোর্ড ও টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে ঘরোয়া লাল বলের ক্রিকেটে খেলার কথা বলা হলেও তিনি কানে তোলেননি।
‘বিদ্রোহী’ ইশানের কাছাকাছি দূরত্বেই ছিলেন শ্রেয়াস! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই টেস্টের স্কোয়াডে ছিলেন এই ব্যাটার। পরে বাদ পড়েন। এজন্য বোর্ড থেকে তাকে রঞ্জি খেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এমনকি কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও জানিয়েছেন, বাদ পড়া খেলোয়াড়ের দলে ফিরতে অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করতে হবে। যদিও কোচের কথা পাত্তা দিচ্ছেন না শ্রেয়াস।
শুক্রবার শুরু হচ্ছে রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনাল। এই ম্যাচে মুম্বাইয়ের হয়ে খেলার কথা ছিল শ্রেয়াসের। কিন্তু হঠাৎই তিনি নাম প্রত্যাহার করে নেন ইনজুরির কারণ দেখিয়ে। পিঠের চোটের কারণে খেলতে পারবেন না, এমনটা জানিয়ে তিনি মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়শন বরাবর চিঠি পাঠান।
এই চিঠি পাঠানোর একদিন পর পাওয়া গেল অন্য খবর। ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির স্পোর্টস সায়েন্স ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান নিতিন প্যাটেল জানিয়েছেন, শ্রেয়াসের কোনও চোট নেই। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানাচ্ছে, জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি কোনও চোট খুঁজে পায়নি শ্রেয়াসের। তিনি ফিট আছেন।
নিতিনের ইস্যু করা চিঠি ছাপা হয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে। যে চিঠিতে লেখা হয়েছে, “ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের পর আমরা যে রিপোর্ট পেয়েছিলাম, সেই অনুযায়ী শ্রেয়াস আইয়ার ফিট ও খেলার জন্য প্রস্তুত আছেন। টেস্টের রিপোর্টে নতুন কোনও চোট খুঁজে পাওয়া যায়নি।”
অর্থাৎ, সুস্থ থাকার পরও রঞ্জিতে খেলতে চাইছেন না শ্রেয়াস। দিনকয়েক আগে বিসিসিআই সচিব জয় শাহর কড়া বার্তা দিয়েও লাভ হলো না। তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা সব ক্রিকেটারকে ঘরোযা লিগ খেলতে হবে। সেটা এমনকি রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির মতো তারকা ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। জয় শাহ তার চিঠিতে জানান, এখনও ভারতীয় ক্রিকেটে জায়গা পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হলো ঘরোয়া ক্রিকেট। ফলে কেউ লাল বলের ক্রিকেট না খেলতে সেটির প্রভাব পড়বে।
তার কড়া হুঁশিয়ারিতেও কাজ হচ্ছে না। এ যেন বোর্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ‘বিদ্রোহ’। ইশান আগেই ছিলেন, এবার এই তালিকায় যুক্ত হলেন শ্রেয়াস!
