কক্সবাজার সৈকতে ভেসে আসা মৃত প্রাণীর তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে একটি শুশুক ও একটি মা কচ্ছপ।
শনিবার রাতে টেকনাফের শামলাপুর চৌকিদারপাড়া সৈকতে ভেসে আসে এ দুটি প্রাণীর মরদেহ।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বোরি) তথ্য অনুযায়ী, মৃত শুশুকটি দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ৯ ইঞ্চি, ওজন প্রায় ৪৫ কেজি। এটি ইন্দোপ্যাসিফিক ফিনলেস প্রজাতির। এছাড়া মৃত মা কচ্ছপটি হলো অলিভ রিডলি প্রজাতির।
বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বোরির একটি উদ্ধারকারী দল সৈকত থেকে শুশুক ও কচ্ছপটির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বিভিন্ন সময়ে মৃত প্রাণী ভেসে এসেছে সৈকতে।
২৫ ফেব্রুয়ারি হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছিল একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন। ১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে সোনারপাড়া সৈকতে ও ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণে পাটুয়ারটেক সৈকতে মৃত দুটো ডলফিন ভেসে আসে। ১৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার শহর থেকে আট কিলোমিটার দক্ষিণে হিমছড়ি সৈকতে একটি ডলফিন ও তার আগেরদিন শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি শুশুকের মৃতদেহ ভেসে এসেছিল।
এছাড়া কক্সবাজারের বিভিন্ন সৈকতে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ভেসে এসেছে ১০৩ টি মৃত মা কচ্ছপ।
২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে স্তন্যপায়ী ডলফিন, পরপইস বা শুশুক ও সামুদ্রিক কচ্ছপ সংরক্ষিত প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত। এগুলো শিকার করা, খাওয়া, অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ পরিবহন ও কেনা-বেচা করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
কী কারণে হঠাৎ করে কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে ডলফিন, শুশুকসসহ সংরক্ষিত প্রাণীর মৃতদেহ ভেসে আসছে তা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বোরির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ।
তিনি বলেন, “এরই মধ্যে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেনসিক প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাণীগুলোর আবাসস্থলে কোনো বড় ধরনের সমস্যা হয়েছে কি না, তাও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।”