Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

সিকদারপুত্র রন ও রিক এবার অর্থ পাচারের মামলায়

রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার।
রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার।
[publishpress_authors_box]

নানা ঘটনায় আলোচিত রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদারের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

তারা দুজনই ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারের ছেলে। বেসরকারি ব্যাংকটির এক সময় পরিচালকও ছিলেন তারা।

পরিচালক থাকাকালীন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ন্যাশনাল ব্যাংকের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সীমাতিরিক্ত ডলার খরচ করে সেই অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।

তারা দুজন ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল এই পাঁচ বছরে ক্রেডিট কার্ডে ব্যয়ের মাধ্যমে ৭১ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেন বলে দুদকের অভিযোগ।

দুদকের দুদকের পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মদ গতকাল রবিবার দুদকের ঢাকা কার্যালয়ে রন ও রিকের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করেন।

দুটি মামলায়ই আসামি হিসাবে নাম এসেছে ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার।

একটি মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে রন হক সিকদারকে। এই মামলায় আসামির তালিকায় আরও রয়েছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মাহফুজুর রহমান, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী মোশতাক আহমেদ ও শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াদুদ, এ এস এম বুলবুল।

এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রন হক সিকদারের এফসি (ফরেন কারেন্সি) একাউন্টে ব্যালেন্স না থাকার পরও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে পাঁচ বছরে সাতটি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যয়সীমার অতিরিক্ত ৬০ লাখ ৯২ হাজার ২২৫ ডলার (২০১৭ সালের বিনিময় হার অনুযায়ী ৫০ কোটি টাকা) বিদেশে ব্যয় করেন তিনি। পরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করে তা দিয়ে ওই ক্রেডিট কার্ডগুলোর ঋণ পরিশোধ করেন তিনি।

এর মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ (২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদকের এজাহারে বলা হয়েছে। মুদ্রা পাচারের আইনে এর শাস্তি ৪ বছর থেকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং সংশ্লিষ্ট অর্থের দ্বিগুণ জরিমানা।

রিক হক সিকদারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায়ও আসামির তালিকায় রয়েছেন মাহফুজুর রহমান, শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী, এম এ ওয়াদুদ, এ এস এম বুলবুল, চৌধুরী মোশতাক আহমেদ।

এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রিকেরও এফসি একাউন্টে ব্যালেন্স না থাকার পরও তিনি বিধিবহির্ভূতভাবে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ছয়টি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যয়সীমার অতিরিক্ত ২৬ লাখ মার্কিন ডলার (২১ কোটি টাকা বিদেশে ব্যয় করেন। পরে বাংলাদেশ হতে বিদেশে অর্থ পাচার করে তা দিয়ে ক্রেডিট কার্ডগুলোর ঋণ পরিশোধ করেন।

রিকের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মুদ্রা পাচার আইনের এই অপরাধের সাজা ৪ বছর থেকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং সংশ্লিষ্ট অর্থের দ্বিগুণ জরিমানা।

কোভিড মহামারির সময় এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠার পর বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন রন। বাবা জয়নুল হক সিকদারের মৃত্যুর পর দেশে ফিরে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে খেলাপি ঋণ থাকায় ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালকের পদ হারান রিক হক সিকদার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত