Beta
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ডাকাত আতঙ্ক : কী ঘটেছিল কালশীতে

ডাকাতির চেষ্টার খবরে রাতে ইসিবি চত্বরে উত্তেজনা দেখা যায়।
ডাকাতির চেষ্টার খবরে রাতে ইসিবি চত্বরে উত্তেজনা দেখা যায়।
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে বিদেশ চলে যাওয়ার পর সরকারশূন্য অবস্থায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

বুধবার রাতে ঢাকার কালশীতে ইসিবি চত্বর এলাকাতেও মানুষের মাঝে এমন ডাকাত আতঙ্ক ভর করে। এদিন রাতে ডাকাতি করতে আসার অভিযোগে আটজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয় এই এলাকার বাসিন্দারা।

ইসিবি চত্বর এলাকার বাসিন্দা নাজমুস সাকিব সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “কাছেই একটি চায়ের দোকানে বসেছিলাম। রাত পৌনে ৯টার দিকে ২০০/৩০০ মানুষ মাস্ক পরে একসাথে যাচ্ছিল। প্রথমে ভাবলাম, বিএনপির নেতাকর্মী মনে হয় শোডাউন দিচ্ছে।

“তার কিছুক্ষণ পরেই ফায়ারিংয়ের শব্দ। আমরা সবাই ধাওয়া দিলে ওরা একটু ভেতরে চলে যায়। দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়েছিল।”

তিনি বলেন, “পরে আমরা তাৎক্ষণিক পুরো এলাকা ঘেরাও দিয়ে দিই। প্রথম দফায় পালাতে গিয়ে আমাদের হাতে ৬ জন ধরা পরে। আমরা সেনাবাহিনী কল করে তাদের হাতে তুলে দেই।

“পরের দফায় আরও দুজন আটক করি। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই ঝামেলা চলে।”

আটককৃতরা নিজেদের পাশ্ববর্তী কালশীর বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে দাবি করেছে জানিয়ে সাকিব বলেন, “ওরা গণধোলাই খেয়ে নিজেদের মিল্লাত ক্যাম্পের বাসিন্দা বলছে। পেশায় ডাকাত আর ছিনতাইকারী। এলাকার প্রভাবশালী এক নেতার কথায় টাকার বিনিময়ে তারা এই ডাকাতি করতে এসেছে।”

এ ঘটনায় আশপাশের এলাকাগুলোতেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জানিয়ে তিনি বলেন, এলাকার মানুষকে সজাগ থাকার জন্য মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হয়। নির্ঘুম রাত কাটিয়ে এলাকাবাসী ডাকাত ধরতে পাহারা দিয়েছেন।

আদাবর উত্তরা মিরপুরেও ডাকাত আতঙ্ক

ঢাকার আদাবরের মনসুরাবাদ হাউজিংয়ের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ৬ নম্বর রোডে রাত ২টার দিকে ৫/৬ জন অস্ত্রধারী ঢুকেছিল। তবে এলাকাবাসীর ধাওয়ার মুখে ৬ রাউন্ড গুলিসহ শটগান ফেলে পালিয়ে যায় তারা।

ডাকাতি ও লুটপাটের চেষ্টা হচ্ছে- এমন খবর ছড়ালে বুধবার রাতে বসিলায় লাঠিসোঁটা হাতে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ।

ওই হাউজিংয়ের ৭ নম্বর রোডের এক বাসিন্দা জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাতে এলাকাবাসী প্রতিটি গলি পাহারা দেয়।

উত্তরার কিছু এলাকা এবং ডিয়া বাড়িতেও ডাকাতের রাতে হানা দিয়েছিল বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের এক বাসিন্দা জানান, রাতে তার বাসার পাশের মসজিদ থেকে মাইকে সবাইকে জেগে থাকতে বলা হয়।

এ ছাড়া মিরপুরের বিভিন্ন এলাকাতেও বুধবার রাতে ডাকাত আতঙ্কে মসজিদের মাইক থেকে এলাকাবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান আসে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন।

এর বাইরে বসিলার ওয়েস্ট ধানমন্ডি হাউজিংয়ে ডাকাতি ও লুটপাটের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এলাকাবাসী একজোট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায় বলে জানান সেখানকার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত