ডেভিড ওয়ার্নার টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন। তাহলে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার হচ্ছেন কে? এই আলোচনায় বেশ কয়েকটি নাম আসছে। এমনকি স্টিভেন স্মিথকেও ওপেনার হিসেবে দেখছেন কেউ কেউ। তাদেরই একজন মাইকেল ক্লার্ক। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্মিথের ওপর এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে, ওপেন করলে ব্রায়ান লারার ৪০০ রানের রেকর্ডও ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন!
২০১১ সালে টেস্ট অভিষেক ওয়ার্নারের। এরপর থেকে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনারের দায়িত্ব সামলে এসেছেন তিনি। গত ১৩ বছর যার কাঁধে ছিল এই গুরু দায়িত্ব, তার বদলি খুঁজে পাওয়া সহজ হবে না অস্ট্রেলিয়ার। তাই বলে সময়ও থেমে থাকবে না। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এরই মধ্যে তার বদলি খোঁজার কাজ করছে। সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের এই জায়গায় পছন্দ ক্যামেরন ব্যানক্রাফটকে। কেউ কেউ আবার মার্কাস লাবুশেনকে দেখছেন ওয়ার্নারের জায়গায়।
তবে ক্লার্কের ‘সেরা’ পছন্দ স্মিথ। তার মতে, টেস্টে ওপেন করলে আগামী ১২ মাসে বিশ্বের সেরা ওপেনার হবেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়কের বক্তব্য, “এখন আমি স্টিভ স্মিথ সম্পর্কে বলি। যদি তারা (টিম ম্যানেজমেন্ট) সুযোগ দেয় এবং সে ব্যাটিংয়ে ওপেন করে, তাহলে ১২ মাসের মধ্যে বিশ্বের সেরা ওপেনার হবে স্মিথ।”
কেন স্মিথের ওপর এত আস্থা, ক্লার্ক উত্তর দিয়েছেন পরের কথায়, “ও দারুণ এক খেলোয়াড়। টেকনিক্যালি অসাধারণ। বল দেখতে ওর চোখ যেমন ভালো, তেমনি হাতেও দারুণ কাজ। বাউন্সারে কিছু সমস্যা আছে, হয়তো এলবিডব্লিউও হয়, সে-তো সবাই হয়।”
তবে ওপেনার স্মিথের সামর্থ্য বোঝাতে এরপর যা বললেন, সেটি বিস্ময়করই। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৪০০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লারা। টেস্ট ক্রিকেটে যা এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। স্মিথ ওপেনার হলে নাকি লারার বিখ্যাত এই রেকর্ডও ভেঙে দিতে পারেন!
ক্লার্ক বলছেন, “স্মিথ কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। ওয়ার্নার কিংবা (উসমান) খাজার সেঞ্চুরি কিংবা মার্কাসের (লাবুশেন) অপেক্ষা করে না সে। ও চায় ডাবল সেঞ্চুরি করতে। তাই স্মিথ ব্যাটিংয়ে ওপেন করলে ১২ মাসের মধ্যে বিশ্বের সেরা হবে। আর আরেকটা বিষয় হলো, ব্রায়ান লারার ৪০০ রানের রেকর্ড ভেঙে ফেললেও অবাক হবেন না যেন।”
স্মিথকে ওপেনার হিসেবে দেখার আশা হয়তো পূরণ হচ্ছে না ক্লার্কের। কারণ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন তার ভাবনা। স্মিথের ওপেনারের ভূমিকা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক বলেছেন, “চার নম্বরে স্মিথের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। নিশ্চিতভাবেই লাবুশেন, ট্রাভিস ও মার্শ ৩, ৫ ও ৬ নম্বরে ভালো করছে। আমার প্রথম ভাবনা হলো, তাদের পারফরম্যান্স যেন বাধাপ্রাপ্ত না হয়।”