উড়ন্ত পিঁপড়ের তাণ্ডবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার বুধবারের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বন্ধ ছিল প্রায় ১৮ মিনিট। এমন আরও অনেক অদ্ভুত কারণে বন্ধ ছিল ক্রিকেট ম্যাচ। দেখে নেওয়া যাক এর কয়েকটা।
সূর্যের আলো
২০১৯ সালে নেপিয়ারে সূর্যের আলোর কারণে বন্ধ হয়েছিল ভারত-নিউজিল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে।
সূর্যের আলো যেন তির্যকভাবে পিচে পড়ে, এজন্য ক্রিকেট পিচ বানানো হয়ে থাকে উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে। কিন্তু নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে পিচ বসানো হয় পূর্ব-পশ্চিম করে। যে কারণে সূর্যাস্তের সময় পিচে সরাসরি আলো পড়ে।
ভারতের ইনিংসের ১১তম ওভারে শিখর ধাওয়ান আম্পায়ারকে জানান, অতিরিক্ত সূর্যের আলো সরাসরি চোখে পড়ায় তিনি বলই দেখতে পাচ্ছেন না। ম্যাচ অফিসিয়ালরা বাধ্য হয়েই খেলা বন্ধ রাখেন ত্রিশ মিনিট। সূর্যের মাত্রাতিরিক্ত বিকিরণে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা স্বীকৃত ক্রিকেটে সেটাই প্রথম।
একই মাঠে বছর খানেক পর একই কারণে ম্যাচ চলাকালীন বন্ধ ছিল নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি।
১৯৯৫ সালের ৩০ জুন ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের খেলা বন্ধ রাখতে হয়েছিল সূর্যের অবস্থানের জন্য।
মাঠে সাপ
মাঠে সাপ ঢুকে গিয়ে খেলা বন্ধ থাকার নজির খুব বেশি নেই। শ্রীলঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে গত বছর জুলাইয়ে ঘটেছিল তেমনই এক ঘটনা। সাকিব আল হাসানের গল টাইটানসের সঙ্গে ডাম্বুলা অরার ম্যাচে সাপ ঢুকে পড়ায় খেলা বন্ধ ছিল বেশ কিছুক্ষণ। ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফরের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও এমন কিছুর সাক্ষী হয়েছেন দর্শকরা। সেই ম্যাচটি হয়েছিল গৌহাটিতে।
কুয়াশা
গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে ধর্মশালায় কুয়াশার জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছিল ভারত-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ। সে সময় বল করছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ফাস্ট বোলার লকি ফার্গুসন এবং ম্যাট হেনরি। ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করছিলেন তারা। কুয়াশার জন্য ভারতীয় ব্যাটারদের যা দেখতে অসুবিধা হচ্ছিল।
সমস্যা হচ্ছিল ফিল্ডারদেরও। পরিস্থিতি দেখে দু’দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করেন দুই আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক এবং মাইকেল গফ। কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে কুশায়া সরে যাওয়ার পর আবার শুরু হয় বিশ্বকাপের ম্যাচ।
তুষারপাত
২০১৬ সালে সারে-সমারসেটের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায় তুষারপাতে। পুরো মাঠ ঢেকে যায় শুভ্র তুষারে, ম্যাচের তৃতীয় দিনে একবারের জন্যও বল মাঠে গড়ায়নি।