প্রশ্ন: গত দেড় মাসের ঘটনাপ্রবাহ আপনি কিভাবে বর্ণনা করবেন?
উত্তর: জুলাই-আগস্টের ঘটনাবলি অত্যাচারী, শোষক ও স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের উৎসবের মতো। যে সরকার কিনা নব্য-ঔপনিবেশিক শাসনের নির্মম শক্তি দিয়ে সার্বভৌম জনগোষ্ঠীর আকাঙ্খাকে দমন করেছে।
একে ইতিহাসের পুনর্জন্ম হিসাবে বর্ণনা করাই হয়তো ভালো হবে, যেমনটি বলেছিলেন আলাঁ বাদিয়ু। ইতিহাস বলতে আমি বুঝি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের সেই মহান নীতি যা ছিল দেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের প্রেরণা। মানুষ যেভাবে সাম্য, স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদার অধিকার (এক কথায় বললে সত্যের স্বাধীনতা) ফিরে পাওয়ার দাবি করছে তার মধ্যেই আমি সেই ইতিহাসের পুনর্জন্ম দেখি।
শেখ হাসিনার শাসনের পতনের আগের দেড়টা মাসে দমন-পীড়নের যে প্রচণ্ডতা দেখা গেছে, তা আসলে এ শাসকগোষ্ঠীর দেড় দশকের দীর্ঘ তথাকথিত সন্ত্রাসদমনের যুদ্ধ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের এবং ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার হরণ, গুম, খুন এবং সর্বশেষ সাইবার নিরাপত্তা আইনের মতো নানা ধরনের কঠোর আইন প্রয়োগের সংক্ষিপ্তসার বিশেষ।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লব সম্ভবত ভবিষ্যতের সমস্ত ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের জন্য একটি ঐতিহাসিক শিক্ষা রেখে যাবে। তা হচ্ছে: সার্বভৌম জনগোষ্ঠীর স্বাধীনতার অধিকার হরণের অপচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। ঐক্যবদ্ধ জনগোষ্ঠীকে কখনো পরাস্ত করা যায় না।
প্রশ্ন: অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে আপনার ধারণা এবং প্রত্যাশা কী?
উত্তর: কথাটার সংজ্ঞা অনুসারেই অন্তর্বর্তী সরকার অস্থায়ী শাসন ব্যবস্থা বৈ নয়। আর তা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তার লক্ষ্যে গঠিত হয়। আমি আশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার এখতিয়ারে যে সীমিত সম্পদ, কর্মী এবং অভিজ্ঞতা আছে তার মধ্য দিয়েই সম্ভাব্য সর্বোত্তম ফল বয়ে আনবে। আমাদের অবশ্যই পর্দার আড়ালের অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারসাজির বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
পরিস্থিতিটা আমরা কিভাবে দেখছি তা বোঝাতে আন্তোনিয়ো গ্রামসির সুপরিচিত বাগধারার আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে: “কামনারটা আশার, শুমারেরটা হতাশার”। আশায় বুক বেঁধে দেখা যাক। সেই হিস্পানিক স্লোগানটার মতো: “ঐক্যবদ্ধ জনগণকে কখনো পরাস্ত করা যায় না।”
জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে সত্যিই তাদের পরাজিত করা যায় না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে একটি কার্যকর বিরোধী শক্তি হয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও তারা এতদিন পর্যন্ত নজিরবিহীন এই স্বৈরাচারী শাসন হঠাতে ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত (কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে অভাবিতপূর্ব) জাগ্রত ছাত্র-সমাজের জ্বলে ওঠাই শেষমেশ নেতৃত্বের শুন্যতা পূরণ করলো।
সবাই জানেন আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ প্রথা সংক্রান্ত অন্যায্য আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে। কিন্তু শাসকদের নিরস্ত্র জনতার ওপর প্রাণঘাতী গুলি চালানোর নির্দেশ, ছাত্রনেতাসহ সবার বিরুদ্ধে অপহরণ ও নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অনেক অপরাধের জেরে এটি সর্বাত্মক গণ আন্দোলনে পরিণত হয়।
বিগত শাসকের বিদায়ের পর একটি গ্রহণযোগ্য পরিণতি হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এলেও তা সাময়িক ব্যবস্থা মাত্র। এর মৌলিক করণীয় দুইটি স্তরে বিন্যস্ত থাকবে বললে সবচেয়ে ভাল বলা হয়: (১) পুরনো জঞ্জাল পরিষ্কার করা এবং (২) নতুন কাঠামো গড়ে তোলা।
প্রথম কাজ হচ্ছে নাগরিক অধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরাচারী শাসনের অবশেষ সরিয়ে ফেলা। ‘পরিচ্ছন্নতা অভিযান’ কর্মসূচির মধ্যে থাকবে ধুঁকতে থাকা, চরম লুণ্ঠনের শিকার অর্থনীতির রক্তক্ষরণ বন্ধ করে প্রাণ ফিরিয়ে আনা। কাজটি নিঃসন্দেহে দুঃসাধ্য।
দ্বিতীয় করণীয় যুক্তিসঙ্গত একটি সময়সূচির মধ্যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। উভয় কাজের জন্যই অন্যায়ভাবে সংশোধিত এবং বিকৃত সংবিধানের অনেক কিছুরই রদবদল প্রয়োজন।
প্রশ্ন: জুলাই থেকে এবং সামনের দিনগুলোতে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর (যেমন, ভারত, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র) ভূমিকা কিভাবে দেখেন আপনি?
উত্তর: ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বিপ্লব কেবল শেখ হাসিনার অধীনস্ত আওয়ামী লীগ শাসনের বিরুদ্ধেই ছিল এমন নয়, ভারতীয় বুর্জোয়াদের প্রায়-ঔপনিবেশিক নীতিও বিপ্লবের নিশানায় ছিল।
আন্তর্জাতিক নদীগুলোর ওপর ভারতের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ গত পঞ্চাশ বছরের অন্যতম আলোচ্য বিষয়। গোটা ৫৪টি বা তার বেশি সীমান্ত নদীর সব কটিই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। বছরের পর বছর বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে তিস্তার পানির ন্যায্য অংশ দেওয়ার অস্বীকৃতিকে এদেশে বন্ধুত্বের নজির হিসেবে দেখা হয়নি।
বাংলাদেশের দরিদ্রতম কৃষক সম্প্রদায়ের সদস্যদের ভারতের একটি মহলের অবমাননাকরভাবে ‘পোকামাকড়’ সম্বোধন করা আমাদের নজর এড়ায়নি।
অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের কাছ থেকে অমূল্য সাহায্য পেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে প্রতিদান হিসাবে তাকে অনেক বেশি মূল্য দিতে হয়েছে। অর্ধশত বছরে দিতে হয়েছে শতগুণ বেশি। ২০২৪ সালের হাসিনা-বিরোধী বিপ্লব ভারত-বিরোধী যুদ্ধেও রূপ নিয়েছে এবং তা যুক্তিসঙ্গত কারণে। নয়াদিল্লির দৃষ্টিভঙ্গি ছিল প্রভুর মতো। এটি এখনও একটি সুপ্রতিবেশিসুলভ দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তিত হয়নি। সাবেক মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট পোরফিরিও দিয়াসের কথা একটু ঘুরিয়ে বলা যায়: ভারতের এত কাছে আর ঈশ্বরের কতই না দূরে! দিয়াস বলেছিলেন, ‘অভাগা মেক্সিকো, ঈশ্বরের কত দূরে আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কত কাছে!’
সংখ্যালঘু হিন্দুদের জন্য বাংলাদেশের পরিস্থিতি নরকে পরিণত হয়েছে— নয়াদিল্লির এই মূল্যায়ন অদূরদর্শিতা ছাড়া আর কিছু নয়। বাংলাদেশে আজ যা সর্বব্যাপী তা আসলে ভারতবিরোধী মনোভাবই। একে হিন্দু বা সংখ্যালঘু-বিরোধী জোশ হিসেবে ধরা উচিত হবে না। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চমৎকার এবং উপমহাদেশের অনুসরণীয়। বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষা বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির এক্স হ্যান্ডলের বিবৃতি প্রতিবেশি দেশটির প্রতি নিজের দলের অভ্যন্তরীণ কর্মসূচিরই অনাকঙ্ক্ষিত প্রতিধ্বনি, হিন্দুত্ববাদের স্তোত্রপাঠ। প্রতিবেশি দেশটি তেমন ক্ষুদ্র নয়। এখনো কে এম মুনশির (ব্রিটিশ আমলের ইতিহাসবিদ) কায়দায় পৌরাণিক ‘অখণ্ড হিন্দুস্থানের’ স্বপ্ন দেখে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। হিন্দুস্থান একক দেশ নয়। বহু ভাষা, ধর্ম, অঞ্চল ও দেশের একটি মহাদেশ। এ মহাদেশ কখনোই অখণ্ড ছিল না। এই প্রশ্নে এই মহাদেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রটির শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের অজ্ঞতা সাংঘাতিক।
জাতীয় বিপ্লবে রূপ নেওয়া বাংলাদেশের এই ছাত্র আন্দোলন শ্রীলঙ্কা, তিউনিসিয়া ও ইরানের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছে। বাংলাদেশের আপনকার ঊনসত্তর ও নব্বুইয়ের গণআন্দোলনের স্মৃতিও নিশ্চয়ই ছাপ ফেলেছিল।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের অযৌক্তিক ভারতীয় আধিপত্য প্রত্যাখ্যানের প্রচেষ্টা শুধু ঢাকাতেই হয়নি। কলম্বো, কাঠমন্ডু, থিম্পু এবং মালেতেও একই ধ্বনি শোনা গিয়েছিল, রাওয়ালপিন্ডিতে তো বটেই।
বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ নামে অভিহিত এই ঘটনাবলি উপমহাদেশের বাইরেও ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। বাংলাদেশের নয়া-ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা এবং এদেশে অনুসৃত সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক নীতিগুলোর একটি দিক ছিল পশ্চিমা বিশ্বের প্রায় শতভাগ অধীনতায় নিমজ্জিত। সেই সম্পর্কটি দৃশ্যত এ মুহূর্তে আলোচনায় নেই। তবে দীর্ঘমেয়াদে শক্তির ভারসাম্য ঘটনাপ্রবাহকে কোথায় নিয়ে যাবে তা অনিশ্চিত। সুচিন্তিত ও দক্ষ জাতীয় নীতি এবং কার্যকর নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমে বিগত সরকারের আমলে তীব্র হয়ে ওঠা সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।
চীনের বক্তব্যও এ অঞ্চলে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে বাংলাদেশের এই অস্থির সময়ে চীনাদের কণ্ঠস্বর ছিল কানে না পশার মতো মৃদু। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অবমাননাকর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ বাংলাদেশের জাহাজ চীনের উপকূলে ঠেলে দিয়েছে। তবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমাদের দেশের অন্তর্বর্তীকালীন এবং ভবিষ্যত শাসকদের অবশ্যই চীনের কাছাকাছি থেকে খুব বুঝেশুনে চলতে হবে। বিশেষ করে পশ্চিমা সামরিক জোটের পক্ষে বাংলাদেশকে (ভারতকেন্দ্রিক) চীনবিরোধী জোটে টেনে নেওয়ার সম্ভাব্যতার কথা মাথায় রেখে। আর এই জোটে যোগদান হবে আমাদের ছোট এই দেশটির পক্ষে স্বেচ্ছামৃত্যুর সমান।
প্রশ্ন: শৈল্পিক মূল্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে এমন মূর্তি ও ভাস্কর্য (শুধু শেখ মুজিবের নয়) নির্বিচারে ধ্বংসের ঘটনা অনেককে ধর্মীয়মৌলবাদীদের ধর্মনিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করার তৎপরতা নিয়ে উদ্বিগ্ন করেছে। বিশেষ করে অতীতের ‘মূর্তিপূজা’ বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে। এ বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কি?
উত্তর: এটি ভারতীয় মিডিয়ার বিভ্রান্তির আরেকটি উদাহরণ। বাংলাদেশে ‘মূর্তিপূজা-বিরোধী আন্দোলন’ বলে কিছু নেই। খুব বেশি হলে একে বলব পার্শ্ববর্তী ঘটনা বিশেষ। সংরক্ষিত ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং জাতীয় ঐতিহ্যের অন্তর্গত দর্শনীয় স্থান বা বিষয়-আশয় ধ্বংস করা নিঃসন্দেহে অনাকাঙ্ক্ষিত। দেখুন, মাও জেদংয়ের বিখ্যাত কথাটি ধার করে যদি বলি, বিপ্লব কিন্তু ডিনার পার্টি নয়। তা যৌক্তিক হলেও আবেগে ভরপুর নানান ঘটনাও ঘটতে পারে। আকছার ঘটে। বিপ্লবের উত্তাল উত্তেজনার মধ্যে কিছু বাড়াবাড়ি খুব অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। ইতিহাস সর্বদা সাক্ষ্য দিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে দমিয়ে রাখা শক্তি একবার মুক্তি পেলে প্রায়শই ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে। তবে কিছু আগে-পরে তা ঠিকই শান্ত হয়।
মুক্তির জন্য শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন এবং তারা যে জাতীয় মোর্চা গড়ে তুলেছিলেন তার সঙ্গে তথাকথিত ‘মৌলবাদ’কে গুলিয়ে ফেলবেন না। এই ধারণা ইসলাম নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগ এবং মুসলমানদের সম্পর্কে ভারতীয়দের একাংশের সংশয়ের ফসল। কিছুটা সময় দিলেই এইসব সমস্যা কেটে যাবে।
প্রান্তিক পর্যায়ে অবশ্যই ইসলামি চরমপন্থা দ্বারা প্রভাবিত কিছু প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যের বিরুদ্ধে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, বাইরে থেকে কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।
উদ্বেগজনিত আক্রমণের এই দুর্ভাগ্যজনক ঝড়ের (বিশেষ করে কোন কোন ভারতীয় মহল থেকে) কারণ সম্ভবত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠিক কি ঘটছে সে সম্পর্কে তাদের প্রত্যক্ষ তথ্যের, জানাশোনার অভাব। কদর্যতাটা আসলে সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদ কারবারিদের নজরের মধ্যেই লুকানো ।
কোন কবিকে বাজে কবিতার জন্য হত্যা করা বা কুৎসিত ফুলদানি ভেঙে ফেলাকে ঢালাওভাবে সব শিল্পের বিরোধিতার সাথে মিলিয়ে দেখা উচিত নয়। স্বৈরাচারের অবশেষ ধ্বংস করাকে শিল্প-সংস্কৃতি বিরোধিতার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না।
সব দেশ ও জাতির মধ্যেই অসংস্কৃত পাণ্ডা লোকজন আছে। মুসোলিনির ভাস্কর্য ধ্বংসের ফলে কি ইতালিতে শিল্পের সমাপ্তি ঘটেছিল? বাংলাদেশের বিগত শাসনামলটিতে দেশের শিল্প-সাহিত্যকে অন্ধকার নীরব বা ফ্যাসিবাদী যুগে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কোন সার্বভৌম জনগোষ্ঠীর তা প্রাপ্য হতে পারে না।
১৬ আগস্ট ২০২৪, ঢাকা।
[ইংরেজি থেকে অনূদিত]