পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সংগঠিত হয়ে স্বাভাবিক কাজ শুরু করলে সেনা সদস্যরা ব্যারাকে ফেরত যাবেন বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সোমবার বিকালে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি আশাব্যাঞ্জক জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে সকল নিয়মিত বাহিনী সন্ত্রাস দমনে তাদের অভিযান পরিচালনা করবে।”
এসময় সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করে জনগণের জন্য রাজনীতি করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন তীব্র হলে গত মাসে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করে সরকার। তবে তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে ১৯ জুলাই সারাদেশে সান্ধ্য আইন জারির পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।
ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ধারা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য মাঠে নামেন সেনা সদস্যরা।
এরপর নানা ঘটনা পরিক্রমার মধ্য দিয়ে গেছে দেশ। তীব্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সেদিন বিকালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই কথা জানান সেনাপ্রধান। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথাও জানান তিনি।
একই দিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় নানা ধরনের অরাজক পরিস্থিতি। থানাগুলোয় হামলা, লুটপাট ও হত্যার ঘটনা ঘটলে নিরাপত্তার স্বার্থে কর্মস্থল ছেড়ে যান পুলিশ সদস্যরা। এ অবস্থায় ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে থানার নিরাপত্তার দায়িত্বও নেন সেনা সদস্যরা।
সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে সীমিত পরিসরে কাজে নেমেছেন পুলিশ সদস্যরা। পাশাপাশি মাঠেও আছে সেনাবাহিনী।
খুলনা সফরে কর্মরত সেনা সদস্যদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন সেনাপ্রধান। পরে খুলনার বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, ডিআইজি, কেএমপি কমিশমানারসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এর আগে যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেনাসদস্যদের দেখতে যান সেনাপ্রধান। গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে বিক্ষোভকারীদের হামলায় আহত অফিসার, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যদের খোঁজখবর নেন তিনি।