মূল বিষয়
উত্তর কোরিয়া রবিবার নতুন একটি সলিড-ফুয়েল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন হুইয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রাশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার দিনেই এই পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে নতুন একটি সলিড-ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার দাবি জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রবিবার স্থানীয় সময় বেলা ২ টা ৫৫ মিনিটে পিয়ংইয়ং থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের দিকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যায়।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূমি থেকে সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার উচ্চতা দিয়ে উড়ে যায়।
উত্তর কোরিয়া যা বলছে
নতুন বহু স্তরের, উচ্চ-গতির সলিড ফুয়েল ইঞ্জিনের নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা করাই উত্তর কোরিয়ার নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উদ্দেশ্য ছিল বলে কেসিএনের খবরের বরাত দিয়েছে জানিয়েছে রয়টার্স। উত্তর কোরিয়ার দাবি, তাদের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য কোনও ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেনি।
সলিড-ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্র কী
বিবিসির এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সলিড-ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্রে মিহি পাউডারের মতো কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। সলিড-ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্র আগে থেকেই জ্বালানিসহ প্রস্তুত করা থাকে এবং এগুলো যেকোনো সময়ে তরল জ্বালানিতে চালিত ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে দ্রুত নিক্ষেপ করা সম্ভব। সলিড-ফুয়েল চালিত ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝপথে আটকে দেওয়াও কঠিন।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র কী
কোনও ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়েও পাঁচগুণ বেশি গতিতে চলার সক্ষমতা অর্জন করলে তাকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বলা হয়। উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ যে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে সেটিও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে দাবি করেছে তারা। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ঘণ্টায় ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে।
বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া
দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলছে, উত্তর কোরিয়া এই ধরনের ‘উসকানিমূলক কার্যক্রম’ এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতার মূল কারণ।
এছাড়া এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করেছে, উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। উত্তর কোরিয়ার উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের ‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়া হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।