Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

এখনও মুক্তিপণ চায়নি সোমালি জলদস্যুরা, সুস্থ আছে ২৩ নাবিক

সচিব
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মারিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম
[publishpress_authors_box]

ভারত মহাসাগরে জিম্মি করা বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিককে মুক্তি দিতে এখন পর্যন্ত কোনও মুক্তিপণ দাবি করেনি সোমালি জলদস্যুরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান মন্ত্রণালয়ের মারিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম।

তিনি বলেন, “গণমাধ্যমে মুক্তিপণের কথা প্রকাশিত হয়ে থাকলে তা কল্পিত। আমাদের কাছে এখনো কোনও মুক্তিপণ তারা চায়নি, মুক্তিপণের ব্যাপারে কোনও যোগাযোগও  করেনি।

“আমরা এখনও জানি না জলদস্যুদের কী দাবি-দাওয়া। আবার আমরা যদি জানতে পারি, তখনও হয়ত কৌশলগত কারণে গণমাধ্যমকে সব জানাতে পারব না। তবে যেভাবে জাহান মনি জাহাজ উদ্ধার করা হয়েছে, যেভাবে আল-বেদো থেকে নাবিকদের অক্ষতভাবে দেশে আনা হয়েছে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।”

জাহান মনি ফেরাতে ১০০ দিন লেগেছে, মালয়েশিয় জাহাজ থেকে সাতজন নাবিককে ফেরত আনতে তিন বছর চারমাস সময় লেগেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কাজেই সময় একটা ব্যাপার।”

এমভি আবদুল্লাহর বাংলাদেশি ২৩ নাবিক সুস্থ আছেন জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, “নাবিকসহ জাহাজ ফেরত আনাই এখন আমাদের প্রথম লক্ষ্য, সেই লক্ষ্য থেকে আমরা বিচ্যুত হবো না।”

আন্তর্জাতিক পথে জাহাজ চলাচলের নানা ঝুঁকিপূর্ণ রুট থাকে উল্লেখ করে খুরশেদ আলম বলেন, “আমাদের এই জাহাজটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রুট দিয়ে যায়নি। তারপরও জলদস্যুরা অপেক্ষায়ই ছিল বা এ নিয়ে ভিন্নমত আছে। জলদস্যুরা জাহাজটির দখল নিয়ে সোমালিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে আজভোর নাগাদ সোমালিয়ার কাছাকাছি তারা নোঙর করেছে।

‘জলদস্যুরা আমাদের সঙ্গে এখনও কোনও যোগাযোগ করেনি। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা খবর রাখছি, জলদস্যুদের প্রায় ৬০ জন জাহাজে অবস্থান নিয়েছে।”

সচিব বলেন, এ বিষয়ে আমাদের আগের অভিজ্ঞতা আছে। জাহান মনি নামের একটি জাহাজ ২০১০ সালে এমন ঘটনার মুখে পড়েছিল। ১০০ দিনের মাথায় সকল নবিকসহ জাহাজটি আমরা ফেরত আনতে পেরেছিলাম।

মালয়েশিয়ান জাহাজ ‘আল-বেদো’ যখন জলদস্যুদের কবলে পড়ে তখন সেখানে সাতজন বাংলাদেশি, দুইজন ইরানি, তিনজন ভারতীয়, দুইজন পাকিস্তানি ও পাঁচজন শ্রীলঙ্কান নাবিক ছিল বলে জান খুরশেদ আলম।

তিনি জানান, সেসময় জাহাজটির মালয়েশিয়ার মালিকপক্ষ কোনও দায়িত্ব না নেওয়ায় জাহাজটি আটকে থাকে। এর আড়াই বছর পর সেটি ডুবে যায়, কিছু প্রাণহানিও ঘটেছিল।

এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা পুরো সময় জুড়েই কাজ করেছি এবং প্রায় তিন বছর চার মাস পরে আমরা নেগোসিয়েশন করে কেনিয়ার সেনাবাহিনী দিয়ে বাংলাদেশি নাবিকদের অক্ষত উদ্ধার করে এনেছি।”

এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের উদ্ধারেও সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে জানিয়ে খুরশেদ আলম বলেনম “নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক, জাহাজের মালিকসহ সব পক্ষের সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত