Beta
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সময় টিভির মামলা

ঢাকার শাহবাগে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির পর পিছু হটেছিল পুলিশ। ফাইল ছবি
ঢাকার শাহবাগে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির পর পিছু হটেছিল পুলিশ। ফাইল ছবি
[publishpress_authors_box]

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। এই মামলাটি করেছে বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন সময় টিভি।

সাংবাদিককে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, গতিরোধ, ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে এই মামলায়।

শনিবার শাহবাগ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি মো. মোস্তাজিরুর রহমান।

তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, সময় টেলিভিশনের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক সৈয়দ আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।

এজাহারে আসামির তালিকায় অজ্ঞাতনামা অনেক শিক্ষার্থীর কথা বলা হয়েছে। কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। আগের দিন একই থানায় পুলিশের করা মামলায়ও আসামির তালিকায় কারও নাম ছিল না।

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্ট রায় দেওয়ার পর জুলাই মাসের শুরু েথকে বিক্ষোভে নামে শিক্ষার্থীরা। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে তারা প্রায় প্রতিদিন শাহবাগে সড়কে অবস্থান নিয়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিল।

বুধবার আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা দিলে পুলিশ এরপর সড়কে নেমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।

তবে তাদের দাবি সরকারের প্রতি এবং তা কোটা সংস্কারের জন্য- এই বক্তব্য তুলে বৃহস্পতিবার পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই শাহবাগ অবরোধ করে। সেখানে নেওয়া এবটি সাঁজোয়া যান আন্দোলনকারীদের প্রতিরোধের মুখে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল পুলিশ।

সে দিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের করা মামলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের যানবাহন ভাংচুর, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং মারধরের অভিযোগ আনা হয়।

সময় টিভির মামলাটিও হয়েছে সেদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই।

এজাহারে বলা হয়, গত ১১ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে সময় টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ত্বোহা খান তামিম (৩৭) এবং ক্যামেরাম্যান সুমন সরকারকে (৩৬) উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। এরপর তারা ত্বোহা ও সুমনকে লক্ষ্য করে কয়েকটি বড় বড় ইট ছুড়ে মারে, যার একটি তামিমের বাম হাতের ওপর এসে পড়ে।

আন্দোলনকারীরা সুমনের হাত থেকে ক্যামেরা ও সরাসরি সম্প্রচারের যন্ত্রটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং ত্বোহার মাথার হেলমেট খুলে আঘাত করেছিল বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।

শাহবাগ থানার এ দুটি মামলায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি এখনও। তবে ভিডিও ও ছবি দেখে আসামি শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত