Beta
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

ছাগলকাণ্ড : সোনালী ব্যাংকে মতিউরের স্থানে নতুন পরিচালক

ss-sonali-bank-head-office
[publishpress_authors_box]

‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়ার পর এবার সেখানে নতুন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক চিঠিতে নতুন পরিচালক নিয়োগের এ আদেশ দেওয়া হয়।

আদেশ অনুযায়ী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবু ইউসুফ তিন বছরের জন্য ব্যাংকটির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, “অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবু ইউসুফকে যোগ দেওয়ার তারিখ থেকে তিন বছর মেয়াদে সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিতে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১–এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।”

সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদে মোহাম্মদ আবু ইউসুফের পরিচালক হিসেবে যোগদানের তারিখ আবশ্যিকভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানাতে বলা হয়েছে।

এর আগে মতিউর রহমানকে রাষ্ট্রমালিকানার সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চিঠি দেয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। রবিবার তাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে (আইআরডি) সংযুক্ত করা হয়।

সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে তার বর্তমান পদ থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তবে কেন এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, প্রজ্ঞাপনে তা উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে হয়েছে, “জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।”

কোরবানির ঈদে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে মুশফিকুর রহমান নামে এক তরুণের ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনার ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে জানা যায়, ওই তরুণ এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে।

এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, বিলাসবহুল জীবনযাপন আলোচনায় আসে। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলোবাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি থাকা নিয়েও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।

‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত এই রাজস্ব কর্মকর্তার ‘অবৈধ সম্পদের’ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদকও।

সেজন্য দুদকের উপ পরিচালক আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন– সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান ও উপ সহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার।

এই কমিটিকে মতিউর রহমানের ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন জানিয়ে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করে দুদক।

যার পরিপ্রেক্ষিতে মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহমদ তৌফিকুর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয় ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত