ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে পুলিশ।
বুধবার বিকাল ৩টার পর থেকে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন সাংবাদিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতদের একজন দৈনিক জনবাণী পত্রিকার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মো. জীবন ইসলাম।
তিনি বলেন, “রাজু ভাস্কর্য এলাকায় পুলিশের উপস্থিতির প্রতিবাদে ৩-৪ জন ছাত্র সড়কে শুয়ে পড়েন। সেই ঘটনার ছবি তুলছিলেন সাংবাদিকরা। এসময় ওই জমায়েতকে লক্ষ্য করে কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। তার একটি আমার পাশে এসে বিস্ফোরিত হয়। এরপর থেকে আমি ডান কানে আর কিছু শুনতে পাচ্ছি না।”
দুপুর আড়াইটার দিকে ৫-৬ জন শিক্ষার্থী রাজু ভাস্কর্য এলাকায় যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। তাদেরকে ঠেলে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তখন এই ছাত্ররা স্বোর্পাজিত স্বাধীনতার পাশে শুয়ে পড়েন। সে সময় পুলিশ কিছু সাউন্ড গ্রেনেড চার্জ করে।
এর পরপরই ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ দুজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ।
ডিএমপির জয়েন্ট কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “প্রশাসন আমাদের এখানে কাউকে আসতে দিতে মানা করেছে। আমরা সেই দায়িত্বই পালন করছি।”
তবে সাংবাদিকদের ওপর বা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ছত্রভঙ্গ করতে কেন এতগুলো সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ করতে হলো, সে প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি। সেইসঙ্গে সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখও প্রকাশ করেন।