মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে চার দিন পর বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকারা বাসিন্দারা।
তারা বলছেন, মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের জেরে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত থেকে সর্বশেষ বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায় গত ৩০ মার্চ। এরপর কোনও বিস্ফোরণের শব্দ আসেনি। বৃহস্পতিবার সকালে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ আসতে থাকে। বিকালে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ আসছিল।
সীমান্ত এলাকার লোকজনের ভাষ্যমতে, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার, ওয়াব্রাং, পুরানবাজার, ফুলের ডেইল, চৌধুরীপাড়া, সাইটপাড়া, রঙ্গিখালী, লেদা, মুচনী, দমদমিয়া, টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়া, কেকে পাড়া, জালিয়াপাড়া থেকে শুরু করে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ থেকে ওপারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের উত্তরের বলিবাজার, নাকপুরা, দক্ষিণে হাস্যুরাতা, নাইক্ষ্যংদিয়া, মাঝামাঝি সিকদারপাড়া, দলিয়াপাড়া, কদিরবিল, নুরুল্যাহপাড়াকে ঘিরে মর্টার শেলসহ নানা বিস্ফোরণের শব্দ আসছে।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, ৩০ মার্চের পর সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও থেমে থেমে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।
সাবরাং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম জানান, সকাল থেকে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। নাফ নদীর ওপারে আবারও সংঘর্ষ চলছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আক্তার কামাল বলেন, চার দিন পর ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ আসছে। দ্বীপে বসেই শোনা যাচ্ছে শব্দ। দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘাত শুরু হয়েছে।
সীমান্তের এ পরিস্থিতিতে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।