Beta
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

স্বস্তির জয়ে শুরু দ.আফ্রিকার

বব১
[publishpress_authors_box]

দুই দলের ব্যবধান আকাশ-পাতাল। তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়াই করল যুক্তরাষ্ট্র। তবে শেষ হাসিটা প্রোটিয়াদের। ১৮ রানের জয়ে সুপার এইট অভিযান শুরু করল এইডেন মারক্রামের দল। প্রোটিয়াদের ৪ উইকেটে ১৯৪ রানের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র থামে ৬ উইকেটে ১৭৬-এ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটা প্রোটিয়াদের টানা পঞ্চম জয়, যা তাদের সর্বোচ্চ। ২০০৯ বিশ্বকাপেও টানা ৫ ম্যাচ জিতেছিল তারা।

নর্থ সাউন্ডে এবারের বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোয় হয়েছে রান আর ছক্কার বন্যা। এই ম্যাচেও হতাশ করেনি দুই দল। লক্ষ্য ১৯৫ হলেও পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৫৩ করে জবাবটা ভালোই দিচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। দুই ব্যাটারকেই ফেরান কাগিসো রাবাদা। ১৪ বলে ২৪ করা স্টিভেন টেলর ক্যাচ দেন হেনরিক ক্লাসেনকে। ৬ বলে ৮ করা নিতিশ কুমার ফিরেন ট্রিস্তান স্টাবসের তালুবন্দি হয়ে।

মোনাঙ্ক প্যাটেল না থাকায় এই ম্যাচেও যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক ছিলেন অ্যারন জোন্স। ০ রানে তিনি আউট হন কেশব মহারাজের বলে উইকেটের পেছনে ডি কককে ক্যাচ দিয়ে। নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা কোরে অ্যান্ডারসন বিশ্বকাপ খেলছেন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে। ৩ উইকেট হারানোর পর তার ব্যাটে ভালো কিছুর প্রত্যাশা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু ১২ বলে ১২ করা অ্যান্ডারসনকে বোল্ড করে তাদের বিপদ আরও বাড়ান আনরিখ নরকিয়া।

১০ ওভারে ৭৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকেও পিছিয়ে পড়ে চমক দেখিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করা যুক্তরাষ্ট্র। শায়ান জাহাঙ্গীরও ৩ রানে তাবরাইজ শামসির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে হারটা সময়ের অপেক্ষা হয়ে যায় তাদের।

এরপরও ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায়নি যুক্তরাষ্ট্র। শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল ৫০ রান। তাবরাইজ শামসির করা ১৮তম ওভারে ৩ ছক্কায় আনদ্রিস গুস ও হারমিত সিং ২২ রান নিলে জমে উঠে ম্যাচ।

 শেষ ২ ওভারে দরকার তখন ২৮। তবে ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই ৩৮ করা হারমিতকে ফিরিয়ে প্রোটিয়াদের ম্যাচে ফেরার রাবাদা। শেষ পর্যন্ত আনদ্রিস গুস ৪৭ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থাকলেও যথেষ্ট ছিল না সেটা। ৪ ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট রাবাদার।

বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিংটা হচ্ছে দুঃস্বপ্নের মতো। সর্বোচ্চ ২২ রানের জুটি হয়েছিল নেপালের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ১০, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ০ আর বাংলাদেশের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটি হয়েছিল ১১ রানের। আজ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও জুটি ভাঙে ১৬ রানে। রেজা হেনড্রিকস ১১ করে ফিরেন সৌরভ নেত্রাভালকারের বলে কোরে অ্যান্ডারসনের তালুবন্দি হয়ে।

এরপর কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মারক্রামের দ্বিতীয় উইকেটে ১১০ রানের পুঁজিতে বড় স্কোরের ভিত পেয়ে যায় প্রোটিয়ারা। জাসদিপ সিং ১ ওভারেই দেন ২৮ রান, যা এই বিশ্বকাপে এক ওভারে তৃতীয় সর্বোচ্চ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ৩৬ রান দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ জাজাই।

পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৬৪ করেছিল প্রোটিয়ারা। বিশ্বকাপ ইতিহাসেই এটা দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিনা উইকেটে ৮৩ তাদের সেরা। ছন্দ হারানো ডি কক জ্বলে উঠেন ঠিক সময়েই। তিনি ফিফটি করেন ২৬ বলে। এবারের বিশ্বকাপে এটা চতুর্থ দ্রুততম ফিফটি। কানাডার বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রেরই অ্যারন জোন্সের ২২ বলে ফিফটি এবারের বিশ্বকাপের দ্রুততম।

৪০ বলে ৭ বাউন্ডারি ৫ ৭৪ করে হারমিত সিংয়ের বলে শায়ান জাহাঙ্গীরকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন কুইন্টন ডি কক। মারক্রাম ফিরেন ৩২ বলে ৪৬ করে। ১৫ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৪১ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ৫ ওভারে তারা তোলে ৫৩ রান। ক্লাসেন ২২ বলে ৩৬ আর স্টাবস অপরাজিত ছিলেন ১৬ বলে ২০ করে। সৌরভ ও হারমিত নেন ২টি করে উইকেট।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত