ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ। একইসঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দাপট। দুয়ে মিলে এবারের বিশ্বকাপে ফেভারিট ধরা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। গ্রুপ পর্বে তাদের পারফরম্যান্সে সেটির ছাপও ছিল। কিন্তু সুপার এইটে এসে খেই হারায় দলটি। শিরোপা দূরে থাক, সেমিফাইনালে পর্যন্ত যাওয়া হলো না ক্যারিবিয়ানদের। তাদের বিদায় করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সোমবার (২৪ জুন) অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ডিএলএস মেথডে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান করেছিল ক্যারিবীয়রা। এই রান তাড়া করতে নেমে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ। পরে ডিএলএস মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ঠিক হয় ১৭ ওভারে ১২৩। এই লক্ষ্য ৭ উইকেট হারিয়ে ৫ বল আগে টপকে গিয়ে শেষ চারে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫ রানে হারায় শাই হোপ (০) ও নিকোলাস পুরানের (১) উইকেট। শুরুর ধাক্কা অবশ্য তারা দারুণভাবে কাটিয়ে উঠেছিল কাইল মায়ার্স ও রোস্টন চেসের ব্যাটে। দুজন মিলে গড়েন ৮১ রানের জুটি। কিন্তু মায়ার্স ৩৪ বলে ৩৫ রানে আউট হতেই আবার এলোমেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল (১) টিকেছেন মাত্র ২ বল। শেরফান রাদারফোর্ড রানের খাতা খুলতে পারেননি। আন্দ্রে রাসেলের (৯ বলে ১৫) ঝড়ও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এত সব ব্যর্থতার মাঝেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ ১৩৫ পর্যন্ত গিয়েছে চেসের চমৎকার ব্যাটিংয়ে। কঠিন সময়ে তিনি খেলেন ৫২ রানের কার্যকরী ইনিংস। ৪২ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কা।
দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে সফল বোলার তারবেজ শামসি। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা এই বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন, এইডেন মারক্রাম, কেশভ মহারাজ ও কাগিসো রাবাদা।
লক্ষ্য ১২৩ রান হলেও বৃষ্টির কারণে সেটি নেমে আসে ১৭ ওভারে ১২৩ রানে। এই লক্ষ্যও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রোটিয়াদের জন্য। ওপেনার রিজা হেনড্রিকস মুখোমুখি প্রথম বলেই আউট। কুইন্টন ডি কক ৭ বলে করেন ১২। মারক্রাম ১৫ বলে ১৮ রান করে আউট।
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ট্রিস্টান স্টাবস (২৭ বলে ২৯) ও হেনরিক ক্লাসেনের (১০ বলে ২২) ইনিংস দুটি। শেষ দিকে মার্কো ইয়ানসেনের ১৪ বলে অপরাজিত ২১ রানের ইনিংসও অবদান রেখেছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোস্টন চেস ৩ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন আন্দ্রে রাসেল ও আলজারি জোসেফ।